ইমার্জেন্সি পিল জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য খাওয়া হয়। কোন প্রকার প্রটেকশন ছাড়া অসতর্কতায় বা অনিরাপদ যৌন সঙ্গমের পর গর্ভধারণের ঝুঁকি কমাতে অনেকেই ইমার্জেন্সি পিল গ্রহণ করে থাকেন। এটি সেবন করতে কোন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া হয় না। এই পিল এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা ও দেখা দেয়। এই ট্যাবলেটটি মিলনের ৩ দিন বা ৫ দিন এর মধ্যে খেতে হয়। যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যায় তত দ্রুত কাজ করে থাকে।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম।ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়।
বর্তমানে যে পিল খাওয়া হয় তা অনেক আগে থেকেই মানুষ গ্রহন করে আসছে। সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালের দিকে গর্ভনিরোধক ঔষধ বা ইমার্জেন্সি পিল এর কথা প্রথম মানুষের চিন্তায় আসে তারপর ১৯৭৪ সালে এ নিয়ে মানুষ গবেষণা শুরু করে। এরপর ১৯৮০ সালের দিকে প্রথম এই পিল বের করে টেস্ট করা হয়। এবং সফল হওয়ার পর থেকেই এই পিল সারাবিশ্বে জন্ম নিরোধক ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমানে অনেক ধরনের পিল পাওয়া যায়।
আমাদের দেশে ও বর্তমানে অনেক ধরনের পিল পাওয়া যায়। একেক পিলের খাওয়ার নিয়ম একেক। আজকের এই আর্টিক্যালে ইমার্জেন্সি পিল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ইমারজেন্সি পিল সম্পর্কে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে সম্পূর্ণ আর্টিক্যালটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ইমার্জেন্সি পিল কি?
ইমার্জেন্সি পিল হল একটি জন্ম নিরোধক ট্যাবলেট যা অসতর্কতায় যৌন মিলনের গর্ভধারণের ঝুঁকি কমাতে এই পিল খাওয়া হয়। কেউ কেউ এই ইমার্জেন্সি পিলকে মর্নিং -আফটার পিল ও বলে থাকে। তার মানে বিষয়টা এমন নয় যে এটি সকালে খেতে হবে। অরক্ষিত যৌন মিলনের ৭২ ঘন্টা থেকে ১২০ ঘন্টা বা ৩ দিন থেকে ৫ দিন এর মধ্যে খাওয়া হয়। তবে মিলনের পর যত দ্রুত সম্ভব খাওয়া যায় তত দ্রুত ও ভাল কাজ করে থাকে।
ইমার্জেন্সি পিল কিভাবে কাজ করে?
এই পিল সাধারণত গর্ভপাত করায় না। এই পিল খাওয়ার পর ডিম্ব স্ফুটনের বা ওভুলেশনের সময়কে কিছুটা পিছিয়ে দেয়। ফলে ভিতরে যে শুক্রাণু থাকে তা গর্ভসঞ্চার করার সুযোগ পায়না। ফলে আস্তে আস্তে জরায়ুতে থাকা শুক্রাণু নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আর প্রেগন্যান্ট হওয়ার কোন সুযোগ থাকেনা। এভাবেই এই পিল গুলো গর্ভধারণের ঝুঁকি কমায়।
তবে মনে রাখা উচিৎ যে কখনো কখনো শুক্রাণু দীর্ঘদিন থাকার পরে ও তা নষ্ট হয়না যার ফলে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পরেও গর্ভসঞ্চার দেখা দিতে পারে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইমার্জেন্সি পিল সেবন করার পরও প্রতি ১০০ জনের ২ জন নারীর গর্ভবতী হতে পারেন। তাই ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কিছুদিন পর প্রোগন্যান্সি টেস্ট করে নিশ্চিত হয়ে নিবেন।
আরো পড়ুনঃ প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট এর নাম ও দাম এবং ঘরে বসে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার উপায়
ইমার্জেন্সি পিল কেন খাবেন?
ইমার্জেন্সি পিল যখন ইচ্ছা বা কারণ ছাড়া ও খাওয়া যাবেনা। নিম্নে লিখিত কয়েকটি কারণে ইমার্জেন্সি পিল খেতে পারবেন:-
- আপনি বা আপনার সঙ্গী সহবাসের সময় কোন জন্মনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার না করলে।
- যদি আপনি পর পর ৩দিন বা তার বেশি নিয়মিত জন্ম নিরোধক ট্যাবলেট খেতে ভুলে গেলে।
- যদি আপনার সঙ্গী সহবাসের সময় সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার না করলে বা কনডম ফেটে গেলে।
- যদি আপনার জরায়ুতে অবস্থিত জন্মনিরোধক (আই,ইউ,ডি) স্থানচ্যুত হয়ে যায়।
- যদি যোনিতে অবস্থিত ডায়াফ্রাম বা জন্মনিরোধক ক্যাপ সরানো হয়ে থাকে।
- ধর্ষনজনিত কারণে।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম
বর্তমানে অনেক ধরনের ইমার্জেন্সি পিল বাজারে পাওয়া যায়। একেক পিলের খাওয়ার নিয়ম একেক রকম। তাই আজকে আমাদের দেশে পরিচিত ও কমন কিছু পিল খাওয়ার নিয়ম আপনাদের কে শেয়ার করবো। আজকে আমরা কমন ৭ টি পিলের খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আশা করি সবার উপকার হবে। ৭ টি পিল হলঃ
- নোরিক্স ১
- 5X ইমার্জেন্সি পিল
- পিউলি ইমার্জেন্সি পিল
- আই পিল (i pill)
- নরপিল
- ইমকন ১
- ফেমিকন
নোরিক্স ১ ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম
ইমার্জেন্সি নোরিক্স পিল এটা সবারই পরিচিত। নোরিক্স খাওয়ার নিয়ম হলো অনিরাপদ মিলনের ৩ দিন বা ৭২ ঘন্টার মধ্যে ১ টি নোরিক্স পিল খেলেই গর্ভধারণ রোধ করা যায় । তবে এই পিল নিয়মিত সবসময় খাওয়া যাবে না বা একমাসে একটা পিলের বেশি খাওয়া যাবে না। একটা পিল গ্রহণ করলে পরবর্তী পিরিয়ড ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত আরেকটা পিল খাওয়া যাবে না। এটা শুধু ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ইমার্জেন্সি নোরিক্স পিলের পার্শ্বপতিক্রিয়ার প্রভাব বেশি দেখা দেয়, ফলে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে । তাই মাসিক সঠিক ভাবে না হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় পিল খাবেন না। এটা যেহেতু ইমার্জেন্সি পিল তাই প্রটেকশন ছাড়া সহবাস করার পর ১টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। এবং সেবন এর ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রটেকশন ছাড়া কয়েকবার সহবাস করলে ও গর্ভবতী হবে না।
Norix 1 পিল কিনুন এখানে
5X ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম
5X ইমার্জেন্সি পিল অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভরোধে খুবই ভাল কাজ করে থাকে। মিলনের ১২০ ঘন্টা বা ৫ দিন এর মধ্যে এই পিল ১ বার সেবন করতে হবে। অন্যান্য ট্যাবলেট এর মত সহবাসের পর পানি দিয়ে গিলে ফেলবেন।
পিউলি ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম
পিউলি ইমার্জেন্সি পিল এটি অরিক্ষিত মিলনের ১২০ ঘন্টা বা ৩ সম্ভব খেয়ে নিতে হবে । ১২০ ঘন্টা পার হয়ে গেলে এই পিল খেলে ও কাজ করবে না। এই পিলটি আপনি খালি পেটে বা ভরা পেটে খেতে পারবেন। পানি দিয়ে গিলে ফেলবেন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়। গর্ভাবস্থায় বমির ট্যাবলেট এর নাম
আই পিল (i-pill) খাওয়ার নিয়ম
i–pill ইমার্জেন্সি পিল দ্রুত গর্ভনিরোধক করতে সহায়তা করে । আই পিল খাওয়ার নিয়ম হলো সহবাস করার ৭২ ঘন্টার মধ্যে যে কোন সময় সেবন করতে হবে । তবে যত দ্রুত সম্ভব খেয়ে নিতে হবে। ৭২ ঘন্টার পর এই ঔষধ এর কার্যকর ক্ষমতা কমে যায়। এই পিল ১টা সেবন করার পর ইচ্ছা করলে ৭২ ঘন্টার মধ্যে কয়েক বার সহবাস করতে পারবেন।
i-pill কিনুন এখনে
নরপিল পিল খাওয়ার নিয়ম
নরপিল ইমার্জেন্সি পিল এটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সহবাসের পর খেয়ে নিতে হবে। চেষ্টা করবেন ১২ ঘন্টার মধ্যে খাওয়ার জন্য তাহলে সব থেকে ভাল কাজ করবে। তবে সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার মধ্যে খেতে হবে এর পর আর কাজ করবে না। এই পিল ও অন্যান্য পিলের মত পানি দিয়ে গিলে ফেলবেন।
ইমকন ১ ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম
ইমকম –১ পিল খাওয়ার নিয়ম অন্যান্য পিলের মতই। কোন প্রটেকশন ছাড়া সহবাস করলে গর্ভনিরোধের জন্য এই ইমকন পিলটি সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার মধ্যে একটি ট্যাবলেট খেতে হবে। পানি দিয়ে গিলে ফেলবেন। এই পিলের একটি ট্যাবলেট সেবন করলে পিল খাওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে কয়েক বার সহবাস করতে পারবেন।
ইমকন-১ পিল কিনতে অর্ডার করুন এখানে
ফেমিকন পিল খাওয়ার নিয়ম
ফেমিকন খাওয়ার নিয়ম একটু ভিন্নরকম। ফেমিকনের একটি পাতায় মোট ২৮ টি ট্যাবলেট বা বড়ি থাকে। তারমধ্যে ২১ সাদা ও ৭ টি লাল বড়ি থাকে। এই ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হল আপনার মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে এই ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করতে হবে। চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একই সময়ে খাইতে। ২১ দিনে ২১ টি সাদা বড়ি খাওয়ার পর ২২ তম দিন থেতে লাল বড়ি খাবেন।
এভাবে খাওয়া শেষ হলে আবার নতুন করে প্রথম থেকে সাদা বড়ি পরে লাল বড়ি ঠিক একই নিয়মে খেতে হবে। এভাবে আপনি যতদিন সন্তান নিতে না চান ততদিন খেয়ে যেতে হবে। যখন সন্তান নিতে চাইবেন তখন থেকে এই বড়ি খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। আবার যদি কোনদিন হঠাৎ খেতে ভুলে যান তাহলে পরদিন ২ টা একসাথে খেয়ে নিবেন।
ফেমিকন কিনতে অর্ডার করুন এখানে
আরো পড়ুনঃ mm kit খাওয়ার সঠিক নিয়ম।এম এম কিট খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়।
ইমার্জেন্সি পিলের নাম ও দাম বাংলাদেশ
ইমার্জেন্সি পিলের নাম ও দাম জানতে চায় অনেকেই। আসলে একেক পিলের একেক দাম হয়ে থাকে। নিচে কয়েকটি পিলের নাম ও দাম উল্লেখ করা হল।
- নোরিক্স ১ = ৬০ টাকা
- 5X ইমার্জেন্সি পিল = ১৯৫ টাকা
- পিউলি ইমার্জেন্সি পিল = ১৯৫ টাকা
- আই পিল (i pill) = ১৯০ টাকা
- নরপিল = ৭৫ টাকা
- ইমকন ১ = ৭০ টাকা
- ফেমিকন = ৩০ টাকা
কোন ইমার্জেন্সি পিল সবচেয়ে ভালো
অনেকেই জানতে চায় কোন ইমার্জেন্সি পিল সবচেয়ে ভালো বা কোন ইমার্জেন্সি পিরের কার্যকারিতা বেশি। আসলে সব ইমার্জেন্সি পিলই ভাল কাজ করে। উপরে যে কয়েকটা ইমার্জেন্সি পিল এর নাম উল্লেখ করেছি সব গুলোই সবার পরিচিত এবং ভাল কাজ করে। আপনি যে কোন একটা পিল খেলেই হবে।
ইমার্জেন্সি পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ইমার্জেন্সি পিলের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই যখন ইচ্ছা না জেনে না বুঝে খাওয়া ঠিক না। আর খাওয়ার পর ও সাবধানে থাকতে হবে। নিছে ইমার্জেন্সি পিলের কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা হলঃ
- অতিরিক্ত সেবনে কখনো কখনো চর্ম ও যৌনরোগ হতে পারে।
- পিল খাওয়ার পর বমি বমি ভাব বা বমি ও হতে পারে।
- মাথা ঘুরানো বা ব্যথা হতে পারে।
- মাসিক অনিয়মিত দেখা দিতে পারে।
- কখনো মাসিকের সাথে জরায়ু দিয়ে ফোটা ফোটা রক্ত যেতে পারে।
- মুখে বিভিন্ন দাগ, মেছতা এবং মুখে ছোট ছোট ব্রণ হতে পারে।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়?
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয় এইটা অনেকেই জানতে চায়। ইমারজেন্সি পিল মাসিক হওয়ার জন্য খাওয়া হয়না। এটা মূলত অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেগন্যান্সি রোধ করতে এই ইমারজেন্সি পিল সেবন করা হয়ে থাকে । ইমার্জেন্সি পিলের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে অনেক সময় এর প্রভাবে মাসিকের নির্দিষ্ট তারিখের আগে বা পরে হতে পারে আবার ঠিক সময়েও হতে পারে।
এমনিতে সাধারণত মেয়েদের মাসিক প্রায় সময়ই অনিয়মিত হয়ে থাকে। যদি পিল খাওয়ার পর মাসিক দেরিতে হলে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। সাধারণত তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ৫-১০ দিন দেরি হতে পারে। তবে যদি ১০ দিন এর বেশি হয়ে যায় তাহলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নিবেন। কারণ অনেক সময় পিল সেবনের পর ও ১০০% এর মধ্যে ২% নারী প্রেগন্যান্ট হয়ে থাকে। তাই সতর্কতার জন্য টেস্ট করে নিশ্চিত হয়ে নিবেন।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট এর নাম।বাচ্চা নষ্ট করার পর কি কি সমস্যা হয়
ইমার্জেন্সি পিল বেশি খেলে কি হয়?
ইমার্জেন্সি পিল এটা গর্ভরোধে স্থায়ী কোন সমাধান নয়। এতে অনেক সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই ডাক্তারগণ সবসময় নিষেধ করেন এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার জন্য। যদি নিয়মিত দীর্ঘদিন এই পিল সেবন করা হয় তাহলে পিলের কার্যকারিতা হ্রাস পায় এবং গর্ভধারণের ঝুঁকি বেড়ে যায় । তাই যত টুকু সম্ভব সবসময় এই পিল এড়িয়ে চলা উচিত।
ইমার্জেন্সি পিল কয়টা খেতে হয়
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর ব্লিডিং
শেষ কথা
ইমার্জেন্সি পিল নিয়মিত ব্যবহার না করাই ভাল। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে অনেক। চেষ্টা করবেন সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম এবং ইমার্জেন্সি পিল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেছি। আশা করি আপনাদের উপকার হবে। ধন্যবাদ
প্রিয় পাঠক! আপনার যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য বা আপনার যে কোন প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাদের প্রশ্ন-উত্তর সাইট Ask Panchmishali তে প্রশ্ন করুন।
Leave a Reply