ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা : ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর নাম সবাই শুনেছি। ই ক্যাপ মূলত ভিটামিন ই জাতীয় ক্যাপসুল যা আপনি  মুখে খেতে পারবেন আবার প্রয়োজনে বাহ্যিকভাবেও ব্যবহার করতে পারবেন । শরীরে ভিটামিন -ই ঘাটতি দেখা দিলে বা খাবার থেকে ভিটামিন-ই পর্যাপ্ত না পেলে এই ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল খেতে বলা হয়।  চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্য অনুযায়ী ই-ক্যাপ ক্যাপসুল এর বেশ উপকারিতা রয়েছে।

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ভিটামিন ই আমাদের শরীরের কোষগুলিকে সতেজ রাখতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরি ভূমিকা রাখে। আমাদের শরীরের ভিটামিন-ই এর সকল অভাব পূরণ করে। তাই আজকের আর্টিক্যালে আমরা, ই ক্যাপ কি?  ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি?, ই ক্যাপ কেন খায় ও ই ক্যাপ খাওয়ার নিয়ম সব কিছুই বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই বিস্তারিত জানতে মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিক্যালটি পড়ুন।

ই ক্যাপ কি?

ই ক্যাপ হল ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট যা শরীরের ভিটামিন ই এর অভাব পূরণে সহায়তা করে। সাধারণত যাদের শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি দেখা দেয় অথবা খাদ্য থেকে ভিটামিন ই গ্রহণ করতে পারছে না তাদের জন্য ডাক্তার ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ই ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দেন।

ই ক্যাপ ক্যাপসুল কয় ধরনের?

সাধারণত ই ক্যাপ  ড্রাগ কোম্পানির ক্যাপসুল। অন্যান্য কোম্পানির ও এজাতীয় ক্যাপসুল পাওয়া যায়। তবে সব থেকে জনপ্রিয় হল ই ক্যাপ । ই ক্যাপ ক্যাপসুল ও কয়েক ধরনের আছে। তা হল,

  • ই ক্যাপ ২০০
  • ই ক্যাপ ৪০০
  • ই ক্যাপ ৬০০

তবে এর মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় বা ই ক্যাপ বলতে আমরা ই ক্যাপ 400 কে বুঝি।

ই ক্যাপ কেন খায় বা ই ক্যাপ ৪০০ খেলে কি হয়

এটি মুলত ভিটামিন ই ক্যাপসুল, এটি আমাদের শরীরের ভিটামিন ই-র সকল অভাব পুরন করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধা, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। পেশী বা হারের দুর্বলতা দুর করে, ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়, চুলের গোড়া শক্ত করে ও পশমের রক্ত চলাচল ঠিক রেখে পুষ্টি সরবরাহ করতে সহায়তা করে। পেনিস বা লিঙ্গের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে লিঙ্গ শক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

ই ক্যাপ কিসের ঔষধ

ই ক্যাপ হল ভিটামিন ই জাতীয় ক্যাপসুল। যা আমাদের শরীরের ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমাদের শরীরের নানান সমস্যা সমাধানে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ই ক্যাপ ভিটামিন -ই যুক্ত ক্যাপসুল হলে ও এর উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। আমরা জানি, প্রত্যেক ওষুধেরই কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা থাকে । তবে আপনি যদি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করুন তাহলে সাধারণ কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তাই চলুন জেনে নেই ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা

ত্বকের জ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ 

ই ক্যাপে রয়েছে এক ধরণের এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের শরিরের ত্বক এবং মুখের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোদে অনেক সময় আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায় তাই উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য ই-ক্যাপ খেতে পারেন। আবার কখনো প্রয়োজন অনুযায়ী বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার ও করতে পারবেন।  

চুল পড়া বন্ধ করতে ই ক্যাপ

চুলের যত্নে ই- ক্যাপ সব থেকে বেশি পরিচিত। ই-ক্যাপ ক্যাপসুলে থাকা ভিটামিন ই চুল পড়া বন্ধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে সব থেকে ভাল কাজ করে। যারা নিয়মিত চুল পড়া নিয়ে খুবই টেনশনে আছেন তাদের ক্ষেত্রে এটি চমৎকার কাজ করবে।

ই ক্যাপ চুলে ব্যবহারের নিয়ম হল এটা প্রতিদিন খাওয়ার পাশাপাশি তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারবেন। চুলে ভালোভাবে ব্যবহার করার ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করবেন। এক মাস ব্যবহারে এর আশ্চর্যজনক ফল দেখতে পারবেন। 

যৌন সমস্যা সমাধানেঃ

যৌন যে কোন সমস্যা সমাধানে ই ক্যাপ দারুণ কাজ করে। শারীরিক অক্ষমতা বা দূর্বলতা দূর করে। সহবাসের সময় বৃদ্ধি পায়। 

বয়সের চাপ দূর করতেঃ 

বয়স বাড়ার সাথে সাথে চেহারায় বয়সের চাপ পরে যায়। ত্বক কুঁচকে যায় ত্বকে বিভিন্ন দাগ দেখা দেয়।  পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বলিরেখা দেখা দেয়। বয়সের ছাপ দূর করতে ই ক্যাপ ক্যাপসুল এন্টি এজিং ক্রিম হিসেবে চমৎকার কাজ করে থাকে । ত্বকের চামড়া ঝুলে যাওয়া এবং কুঁচকে যাওয়া ত্বকে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ই-ক্যাপ ক্যাপসুল তেলের সাথে মিশিয়ে মালিশ করা হয় তাহলে উজ্জ্বলতা বাড়ার পাশাপাশি সব ধরনের বলিরেখা বয়সের চাপ দূর হয়। 

ত্বকের হোয়াইটেনিং ক্রিম হিসেবেঃ 

যারা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের হোয়াইটেনিং ক্রিম বা নাইট ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য ভিটামিন-ই মশ্চারাইজিং হিসেবে  ত্বকের জন্য খুবই জনপ্রিয়। নিয়মিত ব্যবহৃত ক্রীম কিংবা লোশনের সাথে কয়েক ফোঁটা ই-ক্যাপ ক্যাপসুলের তরল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। 

নখের ভঙ্গুরতা রুখতেঃ 

আমরা সারাদিন বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি বাসা বাড়িতে কিংবা বাহিরে যার ফলে অনেকের নখের ভঙ্গুরতা দেখা দেয়।  তাদের ক্ষেত্রে একমাত্র কার্যকরি ঔষধ হলো ভিটামিন-ই ক্যাপ ক্যাপসুল। যারা এই সমস্যায় ভোগতেছেন তারা নিয়মিত ই ক্যাপ ক্যাপসুলের তেল ভেঙে যাওয়া নখে মালিশ করুন। এতে অল্প দিনেই এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 

রোদের ক্রিমঃ 

বিভিন্ন কাজের জন্য বাইরে থাকতে হয় কখনো রোদে কাজ করতে হয় ফলে রোদে ত্বক পুড়ে কালো হয়ে যায়। তাদের জন্য সেরা মশ্চারাইজিং হিসেবে  ভিটামিন-ই ভাল কাজ করে । কুলিং ক্রিমের সাথে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন-ই যুক্ত ই-ক্যাপ ক্যাপসুল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে খুব সহজেই রোদে পুড়ে কালো হওয়া বা দাগ পরে যাওয়া থেকে বেঁচে থাকা যায় । 

ক্ষত সারাতেঃ 

শরীরের যে কোন ক্ষত নিরাময় করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভাল কাজ করে। কোথাও কেটে গেলে বা ক্ষত হলে নিয়মিত ই-ক্যাপ ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন। এতে যেকোনো ক্ষতস্থান খুব দ্রুত শুকাবে এবং দ্রুত সেরে ওঠবে। 

ভিটামিন ই এর অভাব পূরণেঃ 

আমাদের অনেক সময় শরীরে ভিটামিন ই এর ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ ও দেখা দেয়। কেননা ভিটামিন ই এর অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ফলে নানান সমস্যা দেখা দেয়। ই ক্যাপ ক্যাপসুল শরীরে ভিটামিন-ই এর অভাবজনিত সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে। নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করতে ই-ক্যাপ ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন এতে বেশ উপকার পাওয়া যায়। 

ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর অপকারিতা

ই ক্যাপ ক্যাপসুলের অপকারিতা বলতে গেলে নাই। কারণ, সাধারণত ই ক্যাপ ক্যাপসুলের তেমন প্বার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়না । তবে অত্যাধিক পরিমাণে ই ক্যাপ সেবন করলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। অধিক পরিমানে ই-ক্যাপ খেলে আমাশয় সহ এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিমাত্রা খাবেন না। খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। এতে সব থেকে ভাল হবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি মোটা হয়?

অনেকেই মনে করেন ই-ক্যাপ ক্যাপসুল খেলে মানুষ মোটা হয়ে যায়। কিন্তু আসল কথা হল, ভিটামিন-ই ক্যাপসুল খেলে মোটা হয়না । তবে নিয়মিত ই-ক্যাপ খেলে শরীরে ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। ফলে শরীর কারোর একটু মোটা হতে পারে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো?

ভিটামিন-ই ক্যাপসুল সব অনেক রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে ভিটামিন ই ক্যাপসুল বের করেছে। সব গুলোই ভাল। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-ক্যাপসুল হলো ই-ক্যাপ ৪০০, তা ছাড়া ও আরো আছে। যেমন, ই-ভিট, ই-জেল, ই ট্যাব, ই গোল্ড ইত্যাদি।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

ই ক্যাপ খাওয়ার নিয়ম আমাদের জানতে হবে। ই ক্যাপ তিন পাওয়ারের রয়েছে।  ডাক্তারের পরামর্শ হলঃ

১. ই ক্যাপ 200mg : দিনে দুইবার খাবেন সকাল ও রাতে  যে কোন সময়। 

২. ই ক্যাপ 400 mg:  দিনে একবার সকাল বা রাতে রাতে যে কোনো সময় খেতে পারেন। 

৩. ই ক্যাপ  600mg: এটা ও দিনে একবার যে কোন সময়। 

তবে অনেকেই বলে থাকে ই ক্যাপ ক্যাপসুল সন্ধ্যায় হালকা নাস্তা খাওয়ার পর খেলে নাকি উপকার বেশি হয়।  তবে উচিৎ হবে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।

ই ক্যাপ ৪০০ কিভাবে খেতে হয়

ই ক্যাপ দুই ভাবে খাওয়া যায়। চুষে খেতে পারেন অথবা পানি দিয়ে গিলে ফেলবেন। যার যেভাবে ইচ্ছা খেতে পারেন।

ই ক্যাপ কখন খেতে হয়

ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর পাওয়ার অনুযায়ী খেতে হয়। যদি ই ক্যাপ ২০০ হয় তাহলে সকালে ও রাতে খাবেন যে কোন সময়। আর ই ক্যাপ ৪০০/ ই ক্যাপ ৬০০ হলে সকালে অথবা রাতে খাবেন একবার। অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।

ই ক্যাপ এর দাম

  • ই ক্যাপ 200 mg এর প্রতি পিস ৪.৫০ টাকা করে এবং এক প্যাক এতে ১০ টি ক্যাপসুল থাকবে এর মুল্য ৪০ টাকা।
  • ই ক্যাপ 400mg এর প্রতি পিস ৬.৫০ টাকা করে। এবং এর এক প্যাক এতে ১০টি ক্যাপসুল থাকে এর মুল্য ৬০ টাকা।
  • ই ক্যাপ 600mg এর প্রতি পিস ৮ টাকা করে। এবং এর এক প্যাক এতে ১০টি ক্যাপসুল থাকে এর মুল্য ৮০ টাকা।

শেষ কথা

ই ক্যাপ মূলত ভিটামিন ই ক্যাপসুলই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক যা শরীরের ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি চুল পরা হ্রাসের জন্য খুবেই কার্যকরি এবং যৌন সমস্যা সমাধান ও ত্বক মসৃন করার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভুমিকা রাখে।  তবে এর ভাল ফলাফল পেতে হলে কমপক্ষে ২ মাস নিয়মিত খেয়ে যেতে হবে।


Comments

17 responses to “ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা”

  1. নামহীন Avatar
    নামহীন

    ই ক্যাপ আর সাপ্লিমেন্টারি(zovia gold)
    কি একই সাথে খাওয়া যাবে?

  2. খেতে পারেন

  3. নামহীন Avatar
    নামহীন

    Nice??

  4. নামহীন Avatar
    নামহীন

    E cup 400 and E cup 200 aksathe khawoa jabe?

  5. নামহীন Avatar
    নামহীন

    ই ক্যাপ, ঔষধ যদি এক পাতায় ১৫ টা থাকে,তবে সেটা কি নকল?

  6. নামহীন Avatar
    নামহীন

    ছেলেরা কি খেতে পারবে

  7. নামহীন Avatar
    নামহীন

    আমার বয়ষ ১৭ বছর আমার এ ক্যাপ ২০০ খেলে একটু গ্যস হয় এক ব্বলা খেলে কাজ হবে দ্রুত??

  8. আপনি ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করে তারপর ঔষধ খান।

  9. নামহীন Avatar
    নামহীন

    কত বছর বয়স থেকে ই ক্যাপ ৪০০ খাওয়া যাবে?

  10. নামহীন Avatar
    নামহীন

    ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খান

  11. নামহীন Avatar
    নামহীন

    ই ক্যাপ কত বয়স হলে খাওয়া যাবে।

  12. অনামিকা Avatar
    অনামিকা

    আমার মুখে রুছি নাই খেতে পারি না ঘুম আসে না আমি কি অসুধ খেতে পারি বলবেন আমার বয়স 24 বিবাহিত

  13. নামহীন Avatar
    নামহীন

    চুল পড়া কাজে কেমন উপকার পাওয়া যাবে?

  14. নামহীন Avatar
    নামহীন

    যাদের কিডনি এর পয়েন্ট একবার বাড়ছিলো,কিন্তু কন্ট্রোলে আছে,তারা কি খেতে পারবে?

  15. নামহীন Avatar
    নামহীন

    ই ক্যাপ ট্যাবলেট এক পাতায় ১৫ টি সেটা কি নকল

  16. নামহীন Avatar
    নামহীন

    আমি দ্রুত বীর্য পাত হতে সমাধান চাই

  17. নামহীন Avatar
    নামহীন

    না

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *