খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা

খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা: খেজুর সব থেকে উত্তম ফলের একটি। এবং আমাদের প্রিয় নবী সাঃ এর পছন্দের খাবার ছিল খেজুর। আমরা সবাই জানি খেজুর আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি একটি ফল। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরে শক্তি যোগাতে খেজুর সব থেকে ভাল কাজ করে। পাশাপাশি খেজুর চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও দারুণ ভুমিকা পালন করে। খেজুরের মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ছাড়াও আরো রয়েছে ভিটামিন এ, বি ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন এর মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা

পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান খেজুর সম্পর্কে বলেন, একটি পাকা খেজুরে প্রায় ৮০% চিনিজাতীয় উপাদান থাকে। সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে তা আমাদের শরীরের জন্য সব থেকে বেশি উপকারে আসে। তাছাড়া প্রতিদিনের এক্সার্সাইজ করার ৩০ মিনিট আগে কয়েকটি খেজুর খেলে সেটা খুবই উপকারে আসে।

খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা

খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ফলের একটি । এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টি গুনাগুন ও উপকারিতা ও  রয়েছে অনেক। যেহেতু চিনি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাই খেজুরকে চিনির বিকল্প হিসেবে ও খেতে পারেন। এই ফলের রয়েছে নানান উপকারিতা যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। তাই আজকের এই আর্টিক্যালে খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তো চলুন জেনে নেই।

খেজুর কি?

খেজুর সারা বিশ্বে বেশ পরিচিত অত্যন্ত সুস্বাদু ও ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ একটি ফল। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ও খাওয়া যায়। খেজুরের ইংরেজি শব্দ হচ্ছে Date Palm এবং খেজুরের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ফিনিক্স ড্যাকটিলিফেরা (Phoenix dactylifera)

এই খেজুর ফলের গাছ সাধারণত মরু এলাকায় পাওয়া যায় সব থেকে বেশি। মাঝারি আকারের খেজুর গাছের উচ্চতা গড়পড়তা ১৫ মিটার থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। খেজুর আমাদের শরীরের শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয় এবং শক্তি সঞ্চয় হয়। 

খেজুরের পুষ্টি উপাদান।

খেজুরে পুষ্টি উপাদান অনেক।  খেজুরে ভিটামিন-বি ছাড়াও আরও আছে ক্যালরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার এবং অন্যান্য আরও পুষ্টিকর উপাদান। এটি ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। সাধারণত চারটি খেজুর বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে যে পরিমাণ উপাদান পাওয়া যায় তা হলঃ

  • ৯০ ক্যালোরি,
  • ১ গ্রাম প্রোটিন,
  • ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম,
  • ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার। 

এছাড়াও খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকারে ভাল কাজ করে।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। খেজুর খেলে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিচে খেজুরের উপকারিতা দেওয়া হলঃ 

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে খেজুর দারুণ ভাবে সাহায্য করে। খেজুর আমাদের শরীরে দ্রবণীয় ভোজ্য আঁশ সরবরাহ করে। শরীরের জন্য ক্ষতিকর যেসব কোলেস্টেরল  রয়েছে তা এলডিএল এর সাথে যুক্ত হয়ে তা রক্তে মিশে যেতে বাধা দেয় এই আঁশ।এর ফলে ওই কোলেস্টেরলে থাকা ‘ফ্যাটি লিপিড’ রক্তনালীতে জমতে পারেনা। ফলে হৃদয় রোগের ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে

নিয়মিত খেজুর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। কারণ, খেজুরের মধ্যে থাকা ‘ক্যারোটিনয়েড’, ‘পলিফেনলস’ আর ‘অ্যান্থোসায়ানিনস’ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে। খাদ্যতালিকায় নিয়মিত খেজুর রাখলে ক্যান্সারসহ আরও নানান ধরনের রোগের ঝুঁকি কমায় ।

ডায়াবেটিস রুখতে

খেজুরের ভোজ্য আঁশের আছে এক ধরনের উপাদান। যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে। চিনি বা মিষ্টির বদলে খেজুর খেতে পারেন।

পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে

শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে খেজুর দারুণ ভূমিকা রাখে। শরীরের পুষ্টির অভাবে নানান রোগের দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে দৈনন্দিন খাবারে মানুষ ভোজ্য আঁশ, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি, এই চারটি পুষ্টি উপাদান কম খায়। যার জন্য মানুষের শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। তাই মাত্র চারটি খেজুর থেকে পেতে পারেন ভোজ্য আঁশের দৈনিক চাহিদার ২৭ শতাংশ এবং পটাসিয়ামের দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ পুষ্টি উপাদান।

তাই কেউ যদি প্রতিদিন কয়েকটি খেজুর খায় তাহলে অন্তত দুটি পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হবে।

কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট

খেজুর এমন একটি ফল যাতে কোন কোলেস্টেরল এবং অতিরিক্ত চর্বি থাকে না যার ফলে আপনি যদি নিয়মিত খেজুর খান তাহলে অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বি থেকে বেচে থাকতে পারবেন।

প্রোটিন সরবরাহ করে

খেজুর হল প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি ফল। আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে আমাদের শরীরে প্রোটিন সমৃদ্ধ হয় এবং পেশী গঠন করতে সহায়তা করে।

ভিটামিনের অভাব পূরণ করে

আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ভিটামিন এর অভাবে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

খেজুরের মধ্যে থাকা ভিটামিন গুলোর মধ্যে রয়েছে, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ এবং বি৫। এছাড়াও ভিটামিন এ১ এবং ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে ভিটামিন এর অভাব পূরণ করে পাশাপাশি দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে ।

আয়রন সমৃদ্ধ করে

খেজুরে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে। আমাদের শরীরের জন্য আয়রন খুবই দরকারি। আয়রনের ঘাটতি থাকলে বিভিন্ন রোগের দেখা দেয়। নিয়মিত খেজুর খেলে আয়রন বৃদ্ধি পায় আর আয়রন আমাদের হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই যাদের হৃৎপিণ্ড দুর্বল তারা  নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।

হার গঠন ও মজবুত করে

ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড় গঠন ও মজবুত করতে সহায়তা করে। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। নিয়মিত খেজুর খেলে হাড় মজবুত হবে। বাচ্চাদের নিয়মিত খেজুর খাওয়ালে তাদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।

রক্তশূন্যতা দূর করে

খেজুরে প্রচুর মিনারেল ও আয়রন রয়েছে যা আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা রোধ করতে সাহায্য করে। তাই যাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।

কর্মশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন ও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রমজান বা অন্যান্য সময় সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদাররা যদি মাত্র ২টি খেজুর খান তবে খুব দ্রুত শরীরে শক্তি সঞ্চার হয় এবং সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয় ।

স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়

খেজুরে নানা ভিটামিন ও প্রাকৃতিক পরিপূর্ণ থাকার কারণে এটি মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার গতি বৃদ্ধি করে এবং সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ছাত্র-ছাত্রী যারা নিয়মিত খেজুর খায় তাদের  স্মৃতি শক্তি ও দক্ষতা অন্যদের তুলনায় ভাল থাকে ও বৃদ্ধি।

​উচ্চ রক্তচাপ কমাতে

যাদের হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্ত চাপ তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। কারণ, খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও সোডিয়াম দেহে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এবং পাশাপাশি বাজে কোলেস্টেরল দূর করে ও শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে দারুণ কাজ করে।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে

দুধ ও খেজুর উভয়েই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় । এই দুটি জিনিস একসাথে মিশিয়ে খেলে আয়রনের মাত্রা দ্বিগুণ  বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে,  দুধের মধ্যে দুটি করে খেজুর দিয়ে ফোটানো হলে, সেই খাবারটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার মনে করা হয়। প্রতিদিন খালি পেটে একটি নির্দিষ্টি সময়ে এই খেজুর মেশানো পানীয় খেতে পারেন তাহলে অল্প দিনে রক্তাল্পতার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

আজওয়া খেজুরের উপকারিতা 

খেজুরের বেশ কয়েকটি জাত রয়েছে এর সব থেকে প্রসিদ্ধ ও উন্নত জাত হল আজওয়া। আজওয়া খেজুর সম্পর্কে হাদিসে ও এর বরকত ও ফজিলত উল্লেখ রয়েছে। এই জাতের খেজুর মূলত পবিত্র মক্কা নগরীতে উৎপন্ন হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের হাতে আজওয়া খেজুরের গাছ সর্বপ্রথম রোপণ করেন।
আজওয়া খেজুর সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে সেদিন বিষ ও যাদু তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না – বুখারী শরীফ। আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) আরও বলেছিলেন এ খেজুর হল রোগ নিরাময়কারী ও এটি জান্নাতের ফল এর মধ্যে রয়েছে বিষ নিরাময় বিশেষ গুণ।

আজওয়া খেজুরের পুষ্টিগুণ 

আজওয়া খেজুরের পুষ্টিগুণ অনেক। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান পূরণে সহায়তা করে।এর মধ্যে রয়েছে শর্করা, আমিষ, প্রোটিন, স্বাস্থ্যসম্মত ফ্যাট, খাদ্য আঁশ, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-কে ইত্যাদি । আরও আছে ক্যারোটিন, যা চোখের জন্য বেশ উপকারী। নিয়মিত এই খেজুর খেলে দেহের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি দেহে শক্তি জোগাবে এবং সারাদিনের ক্লান্তি দূর হবে।

আজওয়া খেজুরের দাম

আজওয়া খেজুরের দাম সব থেকে বেশি। নির্দিষ্ট কোন দাম নাই। একেক সময় একেকরকম দাম থাকে। তবে এর দাম ৭০০ থেকে ২৫০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

মরিয়ম খেজুরের উপকারিতা

খেজুরের জাতের মধ্যে আরেকটি জাত রয়েছে খুবই প্রসিদ্ধ তা হল মরিয়ম খেজুর। শুকনো খেজুরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ ও উপকারী বলা হয় মরিয়ম খেজুরকে। মরিয়ম খেজুর রয়েছে নানান পুষ্টি উপকারী ও গুনাগুণ যা আমাদের দেহের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।  তারমধ্যে রয়েছে –

  • পেশী গঠনে চমৎকার সাহায্য করে।
  • এর ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
  • দেহের রক্তশূন্যতা দূর করে।
  • হৃৎপিন্ডকে সুস্থ ও সাভাবিক রাখে।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • দেহের সকল ক্লান্তি দূর করে।

মরিয়ম খেজুরের দাম 

মরিয়ম খেজুরের দাম মধ্যেম পর্যায়। সাধারণত এর দাম হয় ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।

খেজুর খাওয়ার নিয়ম

খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানলাম। কিন্তু খেজুর কখন খাবো?  কখন খেলে ভাল উপকারিতা পাওয়া যায় তা জানতে হবে। তো চলুন জেনে নেইঃ

খেজুর আপনি যখন ইচ্ছা তখনই খেতে পারবেন কোন সমস্যা নেই। সকালে খেজুর খেতে পারেন, এতে সারাদিন দেহে শক্তি পাওয়া যাবে ।

সকালে ব্যায়াম করার কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে খেজুর খেতে পারেন। এতে ব্যায়াম করার সময় সহজে ক্লান্তি আসে না এবং দীর্ঘক্ষণ ব্যায়াম করা যায়। পাশাপাশি সকালে খেজুর খেলে পেট থেকে দূষিত পদার্থও বের করে দেয়।

রোজায় ইফতারে খেতে পারেন, এতে সারাদিনের ক্লান্তি দূর হবে। শরীরে শক্তি সঞ্চার হবে। এবং রাতে ঘুমের আগে ও খেতে পারেন। এতে ও ভাল উপকার পাওয়া যায়।
তবে ডায়রিয়া বা পেট খারাপ বা হজমের সমস্যা থাকলে খেজুর না খাওয়াই ভাল।

খেজুরের ঔষধি গুনাগুণ   

খেজুর বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ এর প্রতিষেধক হিসেবে দারুণ কাজ করে। বিশেষ করে যকৃতের সংক্রমণ এবং সর্দি, কাশি, জ্বরের প্রতিসেধক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও বদহজম, উচ্চরক্তচাপ, রক্তশূন্যতা,ক্যান্সার, হৃদরোগ ইত্যাদি সমস্যায় খেজুর বেশ উপকারী।

খেজুর সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে সেদিন বিষ ও যাদু তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। ( সহিহ বুখারি)।

খেজুরের অপকারিতা/খেজুরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

প্রত্যেক জিনিসেরই উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা থাকে। তবে খেজুর এমন একটি ফল যাতে অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই বললেই চলে। তবে সেটা ক্ষেত্র বিশেষ।  ডায়াবেটিস রোগীরা এই ফল খেতে পারেন।তবে যাদের ডায়াবেটিস এর মাত্রা বেশি তারা এই ফল খাওয়ার সময় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিৎ। তা ছাড়া যাদের দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি তারা এই ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

খেজুরের দাম 

সাধারণ খেজুরের দাম বিভিন্ন হয়ে থাকে। ভাল মন্দ বিচারে বা সময়ের বিবেচনায় একেকরকম হয়। সাধারণ খেজুর ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা হয়ে থাকে। 

শেষ কথা

খেজুর উত্তম ও জান্নাতি ফল। খেজুরের উপকারিতা অনেক। যা বিভিন্ন হাদিসে আমাদের রাসুল (সাঃ) বলেছেন। নিয়মিত খেজুর খেলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে। খেজুর শক্তিশালী ফল যা খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আশা করি আজকের এই আর্টিক্যাল সবার ভাল লাগবে। ভাল লাগলে সবার সাথে শেয়ার করুন।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *