চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

চিরতার উপকারিতা ও অপকারিতা: চিরতা নামটা শুনেনাই এমন মানুষ খুব কমই আছ। প্রাচীন কাল থেকে মানুষ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। অনেকেই চিরতার গাছ কে ঔষধি গাছ ও ডাকে। আমাদের শরীরের নানান সমস্যা সমাধানের জন্য চিরতা কে ঔষধ হিসেবে খাওয়া হয়। এর উপকারিতা রয়েছে অনেক। চর্ম থেকে শুরু করে শরীরের প্রায় সব রোগেরই কাজ করে থাকে।

চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

ঔষধ হিসেবে চিরতার পাশাপাশি শেকড় ও বেশ উপকারী। নিয়মিত চিরতার পানি খেলে রোগ বালা হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম থাকে। তাই আজকের আর্টিক্যালের মাধ্যমে আমরা চিরতা সম্পর্কে সবকিছু অর্থাৎ, চিরতা কি, এর গুনাগুন, খাওয়ার উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম, চিরতার পুষ্টি গুন দাম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কোথায় কিনতে পাওয়া যায় এইসব বিস্তারিত আলোচনা করবো।

চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

চিরতা কি?

চিরতা হল ঔষধি গাছ। চিরতাকে ইংরেজিতে  Swertia এবং হিন্দিতে একে চিরায়াতা বলা হয়ে থাকে। চিরতা মূলত একটি প্রাকৃতিক ঔষধি গাছ যা ভেষজ চিকিৎসা ও বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর পাতা গুলো অনেকটা লম্বা ধরনের তেজপাতার মতো এবং এর এক একটি গাছ প্রায় দেড় থেকে দুই মিটার লম্বা হয়ে থাকে। যখন চিরতা গাছে ফুল ফুটে তখন ফুল থাকা আবস্থায় পুরো গাছ তুলে রোদে শুকিয়ে তা দিয়ে বিভিন্ন ঔষধ তৈরি করা হয়।

চিরতার গুনাগুন

চিরতার পুষ্টি গুনাগুন বা অন্যান্য গুনাগুন অনেক। যদি ও চিরতা অনেক তেঁতো হয়ে থাকে যার ফলে অনেকেই খেতে পারেনা। কিন্তু নিয়মিত খেতে পারলে হজম সমস্যা,  জ্বর, কৃমি দূর করতে, চুলকানি, ম্যালেরিয়া, হাপানির চিকিৎসা, ডায়াবেটিস সমস্যা ও অন্যান্য সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকরী।

চিরতা গাছের ছবি

চিরতা একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ যা অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশসহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর জন্মে এই গাছ। চিরতা গাছটির গড় উচ্চতা প্রায় দেড় মিটার। চিরতা পাতার আকৃতি লম্বা যা কম-বেশি ১০ সে.মি. দীর্ঘ। চিরতার পাতার অগ্রভাগ সূঁচালো হয়ে থাকে। এবং এর ফুল বৃন্তহীন, জোড়ায় জোড়ায় বিপরীতমুখী হয়ে ফোটতে দেখা যায় । চিরতা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Swertia chirayita। নিচে চিরতা গাছের ছবি দেওয়া হল :-

চিরতা গাছের ছবি

চিরতার উপকারিতা

চিরতার উপকারিতা বেশ। এই উদ্ভিদের সব টাই ঔষধ নিরাময়ের কাজে ব্যবহার করা হয়। ছোট থেকে বড় সকল ধরনের সমস্যা দূর করতে চিরতা ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি চিরতার শেকড় ও বেশ উপকারী। তো চলুন জেনে নেই চিরতার উপকারিতা গুলো:-

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

চিরতা আমাদের শরিরের নানান রোগ প্রতিরোধে কার্যকরব ভূমিকা পালন করে। রাতে এক গ্লাসে চিরতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিরতা ভেজানো পানি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এবং এতে বিভিন্ন সমস্যা থেকে  মুক্তি পাওয়া যায়। 

২. রক্তস্বল্পতা পূরণ করে

যাদের শরীরে রক্তশুন্যতা দেখা দেয় তারা নিয়মিত চিরতা খেতে পারেন। কারণ চিরতা রক্তস্বল্পতা পূরণে বেশ সাহায্য করে। এটি শরীরে নতুন নতুন রক্ত কোষ গঠন করতে সাহায্য করে । রক্তশুন্যতা দেখা দিলে নিয়মিত সকালে চিরতা ভেজানো পানি পান করলে শরীরে রক্ত তৈরি হয় এবং রক্তশুন্যতা সহজেই দূর হয়। 

৩. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে 

ডায়াবেটিসে চিরতা অত্যন্ত কার্যকর। কারণ রক্তে থাকা সুগার বা চিনির মাত্রা আস্তে আস্তে কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহজ হয়।  আর যাদের ডায়াবেটিস নেই তারা খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়।
এক্ষেত্রে চিরতা ভেজানো পানি বা চিরতার গুড়ো ৫০০ গ্রাম পানির সাথে মিশিয়ে সকাল বিকাল দুই বার পান করুন। এতে ডায়াবেটিস  নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। 

৪. এলার্জির সমস্যা দূর করে 

এলার্জি সমস্যায় যারা ভোগছেন, ঔষধ খেয়ে ও সমাধান পাচ্ছেন না তারা চিরতার পানি খেতে পারেন। এলার্জি দূর করতে চিরতা ভেজানো পানি বেশ উপকারী। অনেকের এলার্জির কারণে শরীর লাল হয়ে যায় এবং শরীর ফুলে যায়। এক্ষেত্রে চিরতার গুড়ো বা শুকনা চিরতা পরিমাণমতো নিয়ে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখেদিন। পরের দিন সেই পানি ঘুম থেকে উঠে পান করবেন এবং সারাদিনে দুই থেকে তিন বার পান করতে পারেন। এতে এলার্জি সমস্যা দ্রুত দূর হয়ে যাবে। 

৫. সংক্রমণ প্রতিরোধ করে 

আমাদের শরীরের নানান সময়ে বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ করে ফলে আমরা অসুস্থ হয়ে যায়।এই ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চিরতা খেতে পারেন। চিরতা আমাদের শরীরকে যে কোন ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হতে রক্ষা করে। চিরতার স্বাদ তেঁতো আর যে কোন তেঁতো খাবার কোন ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসকে সংক্রমণ হতে দেয় না। তাই নিয়মিত চিরতা ভেজানো পানি পান করলে সংক্রমণ থেকে বেঁচে থাকা যায়।

৬. লিভার পরিষ্কার রাখে

লিভারের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য চিরতা বেশ উপকারী। চিরতা লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। যারা লিভারের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত চিরতার পানি পান করুন। এতে লিভারের সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং লিভার সুরক্ষিত থাকবে। 

৭. বমি ভাব দূর করে 

অনেকের বমির সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে মেয়েদের বমি বা বমি বমি ভাব টা বেশি দেখা দেয়।কোনো কিছু খেলেই বমি বমি ভাব অনেক সময় কারণ ছাড়াই বমি হয়ে থাকে । যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা চিরতার পানি পান করতে পারেন। 
বমি ভাব দূর করার জন্য  ৫ গ্রাম চিরতা থেঁতো করে ২ কাপ গরম পানিতে ২ থেকে ৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে দিন। এরপর সেই পানি ছেঁকে অল্প অল্প করে পান করতে পারেন। বমি বমি ভাব বেশি হলে নিয়মিত খেতে পারেন এতে দ্রুত এই সমস্যা দূর হবে। 

৮. হজমের সমস্যা দূর করে 

হজমের সমস্যা দূর করতে চিরতার উপকারিতা সব থেকে বেশি। যে কোন খাবার ঠিক মত হজম না হলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তারমধ্যে এসিডিটি, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ব্যথার মতো নানা সমস্যা হতে পারে। তাই হজম জনিত সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত চিরতার পানি পান করুন।

৯. টক্সিন দূর করে  

চিরতা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে খুব ভাল কাজ করে। নিয়মিত চিরতার রস পান করলে শরীর থেকে টক্সিন নামক ক্ষতিকর যত পদার্থ রয়েছে তা বে করে দেয় ফলে বিভিন্ন অসুস্থতা থেকে বেঁচে থাকা যায়।

১০. ত্বকের যত্নে চিরতা

ত্বকের যত্নে চিরতা বেশ উপকারী । ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ত্বকের ব্রণ, কালো দাগ, ঘা, ক্ষত, মেছতা এবং ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে নিয়মিত চিরতা ভেজানো পানি পান করতে পারেন। ত্বক আকর্ষণীয় ও উজ্জ্বল হবে।

১১. তারুণ্য ধরে রাখতে 

নিয়মিত চিরতার পানি পান করলে বয়সের চাপ দূর করে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে কার্যকরি ভুমিকা পালন করে। চিরতার পানি আমাদের শরিরের রক্ত পরিস্কার করে ও রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত চিরতার পানি পান করতে হবে। 

১২. হাঁপানি রোগে

হাঁপানি সমস্যা খুবই মারাত্মক। আর এই সমস্যা দূর করতে চিরতার পানি পান করুন। কেননা হাঁপানি রোগ দূর করতে চিরতার বেশ সুনাম রয়েছে। যাদের হাঁপানি রয়েছে তারা আধা গ্রাম চিরতার গুড়োর সাথে মধু মিশিয়ে নিয়মিত খেলে হাঁপানির সমস্যা ভাল হয়।  

১৩. ক্ষত সারাতে

শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে বা চিলে গেলে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষত দ্রুত ভাল করতে চিরতা দারুণ ভাবে কাজ করে। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে  তা হল এক কাপ গরম পানিতে ৪ থেকে ৫ গ্রাম চিরতা ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেই পানি ভাল করে ছেঁকে সেই পানি দিয়ে ক্ষত স্থান ভালো ভাবে পরিষ্কার করুন। পাশাপাশি চিরতার পানি ও খেতে পারেন। এভাবে নিয়মিত  ৪ থেকে ৫ দিন ব্যবহার করলে আপনার ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে যাবে এবং ভাল হবে । 

১৪. জ্বর উপশম করে 

চিরতা খেলে জ্বর কিংবা  ঠান্ডা দ্রুত ভাল হয়। জ্বর হলে ৫ থেকে ১০ গ্রাম চিরতা ৪ কাপ পানিতে বেশ কতক্ষণ সেদ্ধ করে ২ কাপ পানিতে পরিনত করুন। তারপর পানি ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন।এই পানি নিয়মিত সকাল ও বিকেলে অল্প অল্প করে পান করুণ। এতে জ্বর দ্রুত সেরে যাবে। 

১৫. চুল পড়া বন্ধ করতে

চুল পড়া বন্ধের জন্য চিরতা ভাল কাজ করে। চিরতার পানি দিয়ে চুল ধৌত করলে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুলের গুড়া শক্ত হয়।

চিরতার অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

চিরতার উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। আমরা জানি সকল কিছুরই ভালোর পাশাপাশি কিছু কিছু ক্ষতিকর থাকে। নিচে চিরতার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করা হল:-

যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই খাওয়ার চেষ্টা করবো। প্রয়োজনের অতিরিক্ত চিরতার রস পান করলে উপকারের পরিবর্তে অপকার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কারণ চিরতা তেঁতো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে বমি কিংবা পেটের সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

চিরতা ১০ থেকে ১৫ দিনের বেশি একটানা খাওয়া যাবে না। ডাক্তাররা নিষেধ করে থাকেন। দীর্ঘদিন একটানা খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যখন প্রয়োজন হবে তখন খাবেন। প্রয়োজন মিটে গেলে আর খাবেন না।

চিরতা ব্লাড সুগার লেভেলকে কমিয়ে দেয় তাই যাদের ডায়াবেটিস তাদের জন্য খুবই ভাল। কিন্তু যাদের ব্লাড সুগার প্রয়োজনের চেয়ে ও কম তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই চিরতা খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত। 

তাছাড়া গর্ভবতী নারীদের ও শিশুদের চিরতার রস পান করানোর পূর্বে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন। 

খালি পেটে চিরতা খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে চিরতা খাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল সকালে চিরতা ভেজানো পানি খাওয়া। উপরে উল্লেখিত উপকারিতা গুলো সকাল বেলায় খালি পেটে চিরতার পানি খেলে পাওয়া যাবে। তাই আলাদা করে আর উল্লেখ করা হয়নি।

চিরতার খাওয়ার নিয়ম

চিরতা খাওয়ার সাধারণ নিয়ম হল, রাত্রে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস বা সমপরিমাণ পানিতে ৫ থেকে ৭ গ্রাম চিরতা ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। তারপর ঘুম থেকে উঠে সকাল বেলা ছেঁকে চিরতা ভেজানো পানি পান করতে হবে। আবার রাতে ও ঘুমানোর আগে পান করতে পারেন। তা ছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার কারণে বিভিন্ন ভাবে খেতে পারেন। নিচে উল্লেখ করা হলঃ-

১। কাটা ঘা বা ক্ষত দ্রুত শুকানোর জন্য রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ বা সমপরিমাণ গরম পানিতে চিরতা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সকালে ওই পানি ভাল করে ছেকে তা দিয়ে ক্ষত স্থান মুছে দিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ক্ষত দ্রুত ভাল হয়।

২। জ্বর সারাতে ৭ থেকে ৮ কাপ গরম পানিতে চিরতা সিদ্ধ করে সেই পানিকে ২ থেকে তিন কাপ বানাতে হবে। তারপর ছেঁকে সেই পানি সকালে অর্ধেক বিকেলে অর্ধেক খেলে জ্বর দ্রুত ভাল হয়।

৩। হাঁপানির বা কাশি বৃদ্ধি পেলে ১ থেকে দুই গ্রাম চিরতার গুঁড়ার সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন অথবা পানি তে চিরতার গুড়ো ও মধু মিশিয়ে ২-৩ দিন খেলে দ্রুত নিরাময় পাওয়া যায়।

৪। যাদের মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়ে তাদের চুলপড়া রোধ করতে ৫ থেকে ৭ গ্রাম চিরতা রাতে গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিবেন। এবং সকালে তা  ছেঁকে নিয়ে সেই পানি দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। পরবর্তীতে মাথা ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কর করে নিন।

৫। যাদের চুলকানির সমস্যা আছে তারা ২৫ গ্রামের মতো চিরতা নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তারপর ১০০ গ্রাম সরিষার তেল চুলায় গরম করুন, ফেনা কমে গেলে সেখানে চিরতার গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন। তারপর তা  চুলকানোর স্থানগুলোতে হালকা করে মালিশ করুন।

৬। নিয়মিত চিরতা খেতে চাইলে একটানা ১৫ দিনের বেশি খাবেন না। ১৫ দিন পর কিছুদিন বিরতি নিয়ে তারপর আবার খেতে পারেন।

চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে

চিরতা কি কিডনির ক্ষতি করে কিনা এটা অনেকেই জানতে চায়। আসলে চিরতা কিডনির ক্ষতি করে না। তবে দীর্ঘদিন একটানা চিরতা খেলে কিডনির উপর কারাপ প্রভাব পড়তে পারে।

চিরতা ও কালমেঘ কি একই

চিরতা ও কালমেঘ দেখতে অনেকটা একইরকম হলে ও তা এক নয়। আবার কালোমেঘের ইংরেজি নামের অর্থ হচ্ছে সবুজ চিরতা। যার ফলে অনেকেই মনে করেন যে ২ টা একই জিনিস। কিন্তু বাস্তবে কালোমেঘ বা সবুজ চিরতা সম্পূর্ণ আলাদা ।

চিরতা কোথায় পাওয়া যায়

চিরতা সাধারণত গ্রামের রাস্তার আশেপাশে কিংবা বন জঙ্গলে প্রচুর চিরতা জন্মাতে দেখা যায়। শহরে পাওয়া যায় না বললেই চলে।  তবে আপনার এলাকায় বা শহরে না পাওয়া গেলে দোকান থেকে কিনে নিতে পারবেন। অনেক দোকানেই শুকিয়ে বিক্রি  করে। আবার অনলাইনে ও চিরতা ও এর গুঁড়া কিনতে পাওয়া যায়।

চিরতার দাম

চিরতা যদি না পাওয়া যায় তাহলে কিনে নিকে পারেন। চিরতা অত্যন্ত তেঁতো হওয়ায় এর দাম ও কম। অল্প নিলেই অনেকদিন খাওয়া যায়। বাজারে বা অনলাইনে ১০০ গ্রাম শুকনো চিরতার দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকায় কিনতে পারবেন।

উপসংহার

চিরতার উপকারিতা অতুলনীয় হলে ও এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। সঠিক ভাবে খেলে আমাদের শরীরের নানান সমস্যা দূর করে। তাই চিরতার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে চিরতার পানি পান করতে পারেন। ধন্যবাদ


Comments

3 responses to “চিরতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা”

  1. নামহীন Avatar
    নামহীন

    অসাধারণ লেখা খুব উপকারী অনেক তথ্য পেলাম ধন্যবাদ

  2. আপনাকে ও ধন্যবাদ

  3. নামহীন Avatar
    নামহীন

    সুন্দর পরামর্শ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *