আমাদের প্রায় সময়ই একটা সমস্যা দেখা দেয় সেটা হল পায়খানা ক্লিয়ার হয় না। পায়খানা কষা বা শক্ত হয়ে যায়। যার ফলে আমরা নানান ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পায়খানা কষা বা শক্ত হওয়াকেই মূলত আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য বলে থাকি । আর দৈনন্দিন জীবনের এটি আমাদের খুব পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠেছে।
আমাদের প্রায় সময়ই দেখা যায় হঠাৎ করে পায়খানা খুব শক্ত হয়ে গেছে, মলত্যাগের সময় অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয় । তারপর ও মনে হয় যেন পায়খানা ঠিক মত ক্লিয়ার হয়নি। মনে হয় যেন আরো পায়খানা হবে।
পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা শক্ত হয়ে গেলে পায়খানা করার সময় ব্যথা পাওয়া যায় ।পায়খানা শক্ত হওয়ার ফলে অনেকের একটানা তিন–চারদিন পায়খানা নাও হতে পারে। এই সমস্যা গুলো সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কখনো অলসতা করা উচিৎ নয়। কারণ দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগলে এর কারণে পাইলস বা অর্শ রোগ কিংবা এনাল ফিসার বা গেজ রোগ এর মতো বড় বড় সমস্যা পায়ুপথে তৈরি হতে পারে।
তাই আমাদের উচিৎ আগে জানা কেন পায়খানা শক্ত বা কষা হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে কোনো প্রকার ঔষধ ছাড়াই সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়েই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
আজকে আমরা এই আর্টিক্যালের মাধ্যমে জানবো পায়খানা শক্ত বা কষা হওয়ার-
- লক্ষণসমূহ
- কারণ
- জটিলতা
- প্রতিকার,
- ঔষধ ইত্যাদি
সম্পর্কে জেনে এবং সেভাবে চলার চেষ্টা করবো। তাহলে আর আর কখনো এই সমস্যায় ভোগতে হবেনা।
আরো পড়ুনঃ পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি এবং পাতলা পায়খানার ট্যাবলেটের নাম
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ কী কী?
কোষ্ঠকাঠিন্যের বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে তন্মধ্যে যেটা কে আমরা আসল লক্ষণ বুঝি সেটা হল সপ্তাহে ৩ বারের কম পায়খানা হওয়া। কারণ সাধারণত সপ্তাহে যদি তিন বারের কম পায়খানা হয়, তবে সেটাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়ে থাকে । তাছাড়া আরো বেশ কিছু কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ রয়েছে তা হলো—
- পায়খানা শুকনো, শক্ত চাকার মত হলে।
- পায়খানার আকৃতি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় দেখালে।
- পায়খানা করতে খুবই কষ্ট হলে।
- পেট ক্লিয়ার হচ্ছে না এমন মনে হলে।
- সবসময় পেটে ব্যথা করলে।
- পেট ফাঁপা মনে হলে।
- বমি বমি ভাব হলে।
পায়খানা শক্ত বা কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়?
বিভিন্ন কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা শক্ত হওয়ার সমস্যা হতে পারে। আমরা এখানে সবচেয়ে কমন ও গুরুত্বপূর্ণ ৬টি কারণ উল্লেখ করেছি —
- দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার না থাকা ।
- দৈনন্দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা।
- শুয়ে-বসে থাকলে এবং শারীরিক পরিশ্রম না করলে।
- পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে রাখলে।
- মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতায় ভোগলে।
- কোন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে।
উপরে উল্লেখিত ৬ টি কারণ কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি করে তা আমাদের আগে জানতে হবে। এই কারণ গুলো জানা থাকলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের সহজ হবে। তো চলুন ৬ টি কারণ এর বিস্তারিত জেনে নেই —
১. যথেষ্ট ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার না খাওয়া
আমাদের দৈনন্দিন খাবারে ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার থাকা খুবই প্রয়োজন। পেট বা পায়খানা ক্লিয়ার হওয়ার জন্য ফাইবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ফাইবার বা আঁশ হলো এক ধরনের শর্করা।আমাদের খাবারের মধ্যে যে ফাইবার থাকে তা পরিপাকতন্ত্রের যে জায়গায় পায়খানা তৈরি হয় ও জমা থাকে, সেখানে ফাইবার অনেকটা স্পঞ্জের মত কাজ করে।
খাবারের মধ্যে থাকা ফাইবার পানি শোষণ ও ধারণ করার মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রে পানি ধরে রাখতে সহায়তা করে। ফলে পায়খানা নরম ও ভারী হয় এবং সহজেই মল ত্যাগ করা যায় । কিন্তু দৈনন্দিন খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার না থাকলে পায়খানা শক্ত ও কষা হয়ে যায়। ফলে পেটে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কান ব্যাথা দূর করার উপায়।কানের ব্যাথার ঔষধের নাম বাংলাদেশ
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা
পানি আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সবাই জানি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে আমাদের পেটের নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এই পানি খাবারের ফাইবারের সাথে মিলে পায়খানাকে ভারী ও নরম করতে সাহায্য করে। ফলে পরিপাকতন্ত্রের ভেতরে পায়খানা নরম হয় ও চলাচল সহজ হয়। তাই দৈনন্দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে পায়খানা শক্ত ও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
৩. শুয়ে-বসে থাকা ও শারীরিক পরিশ্রম না করা
আমরা জানি, নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম করলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র অর্থাৎ পেটের ভেতরে থাকা নাড়িভুঁড়ি সচল হয় এবং ভাল কাজ করে । এতে পায়খানা নরম থাকে এবং স্বাভাবিকভাবে পায়খানা সহজেই বেরিয়ে আসে। তাই নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম না করলে শুয়ে-বসে থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
৪. পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে রাখা
পায়খানা শক্ত হয়ে গেলে আমরা মলত্যাগ না করে অনেক সময় চেপে রাখি। কারণ তখন পায়খানা করতে কষ্ট হয়। কিন্তু পায়খানার বেগ আসলে তা যদি আমরা আটকে রাখি , তাহলে শরীর ক্রমশ সেখান থেকে পানি শুষে নিতে থাকে এবং পায়খানা আরো শক্ত হতে থাকে । পেটের ভেতর পায়খানা চেপে রাখলে রাখলে সেটা দিন দিন আরও শক্ত হতে থাকবে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিবে।
৫. মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা
মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা থাকলে আমাদের কাজের এবং শরীরের স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতির ব্যাঘাত ঘটায়। আমাদের শরীর সঠিক ভাবে তার কাজ না করতে পারার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
৬. ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সব ঔষধেরই কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।তবে
নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে থাকে। সেগুলো হল—
- ট্রামাডল বা ওপিয়েট জাতীয় ব্যথার ঔষধ।
- আইবুপ্রোফেন।
- আয়রন ট্যাবলেট।
- ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট।
- কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত কিছু ঔষধ।
তাছাড়া একসাথে অনেক গুলো ঔষধ অর্থাৎ পাঁচটার বেশি ঔষধ খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
আরো পড়ুনঃ আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও আমাশয় রোগের ঔষধের নাম
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ২ টা উপায় রয়েছে একটি হল যেসব কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে সেগুলো এড়িয়ে চলার মাধ্যমে আরেকটি হল সাথে কিছু ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে। দুটি বিষয়ই উল্লেখ করার চেষ্টা করবো। প্রথমে জেনে নেই কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে পায়খানা ক্লিয়ার করা যায়।
১. খাবারের তালিকায় ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে
দৈনন্দিন আমরা খাবার তালিকায় যেসব খাবার রাখি তাতে ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার বেশি রাখতে হবে।যেমন, সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডাল, লাল আটা ও লাল চালের মতো গোটা শস্যদানা খাবার তালিকায় বেশি রাখা উচিত। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বা পায়খানা কষা শক্ত হওয়ার সমস্যা দূর করতে ডাক্তাররা দৈনিক প্রায় ৩০ গ্রাম ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
২. দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হবে
পানি পেটের যে কোন সমস্যা দূর করতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে। পানি শক্ত বা কষা পায়খানা নরম করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খুবই সাহায্য করে। যখন ফাইবারজাতীয় খাবার বেশি খাবেন সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি ও খেতে হবে। কারণ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার পানি শোষণ করে। যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার ও পানি খেলে দ্রুত পায়খানা ক্লিয়ার হয় এবং কয়েকদিনের মধ্যেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়। তাই দৈনিক কমপক্ষে ২ লিটার পানি অবশ্যই পান করতে হবে।
৩. প্রতিদিন কিছুক্ষণ ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করতে হবে
নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি । কারণ শরীরচর্চা করার ফলে আমাদের শরীরের কোষ গুলো সতেজ থাকে এবং শরীর সচল রাখে ফলে পায়খানা নরম রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন অল্প সময় হলে ও শরীরচর্চা করার অভ্যাস করুন।
শরীরচর্চা বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে চেষ্টা করবেন যত গুলো পারেন করতে। যেমন, দ্রুত হাঁটা বা সাইকেল চালানো.অথবা দৌড়ানো, ফুটবল খেলা, দড়ি লাফ, সাঁতার কাটা ইত্যাদি ব্যায়াম গুলো যত টুকু পারেন করতে পারেন। প্রথমে আস্তে আস্তে শুরু করতে পারেন অন্য গুলো না পারলে হাটা দিয়ে শুরু করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, শক্ত পায়খানা ক্লিয়ার করতে বা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে হাঁটাহাঁটি বা হালকা শরীরচর্চা কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৪. পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে রাখা যাবে না
পায়খানা আসলে কখনো চেপে রাখা যাবে না। কারণ পায়খানা চেপে রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরো মারাত্মক হতে পারে। এবং চেপে রাখার ফলো বড় ধরনের সমস্যা যেমন, পাইলস ও এনাল ফিসার বা গেজ রোগ সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পায়খানার বেগ আসলে চেপে না রেখে যত দ্রুত সম্ভব টয়লেটে চলে যেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নাম।জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা শক্ত হওয়ার সমস্যা আছে এবং পায়খানা ক্লিয়ার হয়না তাদের মলত্যাগের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্যান বা লো কমোডে পায়খানা করা । লো কমোডে সম্ভব না হলে যদি হাই কমোড ব্যবহার করতে হয় সেক্ষেত্রে পায়ের নিচে ছোট টুল বা এজাতীয় উঁচু কোন কিছু দিয়ে বসবেন যেন পা উঁচু করে বসতে পারেন। এভাবে বসলে হাঁটু দুটি কোমরের উপরে থাকে এতে মলত্যাগ করতে সহজ হবে।
৫. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করার ব্যবস্থা নিতে হবে
মানসিক ভাবে সবসময় নিজেকে খুশি রাখুন। সবসময় এমন কাজ করবেন যা আপনার মন ভাল থাকে। এটা হতে পারে কোথাও ঘুরতে যাওয়া, প্রার্থনা করা বা প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানো। যদি আপনি কোন কারণে ডিপ্রেশন কিংবা হতাশায় ভুগে থাকেন, তাহলে সেই রোগের জন্য আলাদাভাবে চিকিৎসা নিন। কারণ মানসিক সমস্যা থাকলে শরীর নিস্তেজ থাকে এবং শরীরের কোষ গুলো দুর্বল হয়ে যায় ফলে পায়খানা ক্লিয়ার হয় না। তাই আপনার মানসিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হয়ে যাবে।
৬. ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে
কখনো কখনো কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে পায়খানা শক্ত হয়ে যায় বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। কোন নতুন ঔষধ শুরু করার পরে যদি মনে হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিয়েছে বা বেড়ে গেছে, তাহলে আপনি ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করুন। যেন ডাক্তার এই ঔষধ গুলো বদলে দিতে পারেন, বা কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসার জন্য অন্য আরেকটি ঔষধ সাথে খাওয়ার জন্য বলতে পারেন ।
আরো পড়ুনঃ হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় ও হজম শক্তি বৃদ্ধির ট্যাবলেট।
পায়খানা হওয়ার ঔষধের নাম
সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা ক্লিয়ার হওয়ার জন্য আপনি Duralax ঔষধ টি কেতে পারেন।পায়খানা হওয়ার ঔষধ হিসেবে ডাক্তাররা বেশিরভাগ সময়ই (Duralax) ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । আপনার যদি পায়খানা ক্লিয়ার না হয় বা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তাহলে এই ঔষধটি খেতে পারেন।
পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেট এর নাম
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য ডাক্তাররা যেসব ট্যাবলেট খেতে পরামর্শ দেন তা হলঃ
- Duralax 5mg
- Dulcolax 5mg
- Bisacodyl 5mg
বিঃদ্রঃ দীর্ঘ মেয়াদে এই ঔষধ গুলো ব্যবহার করবোন না। এতে রক্তে পটাসিয়াম ও শরীরে পানি শুন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন।
পায়খানা শক্ত বা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে?
নিচে কয়েকটি অবস্থার কথা উল্লেখ করা হল, যদি এমন সমস্যায় পড়েন তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন—
- ঘরোয়া উপায়ে পায়খানা ক্লিয়ার না হলে।
- অনেকদিন ধরে নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগতে থাকলে।
- পায়খানা কষা এবং পেট ফাঁপা লাগলে।
- অনেকদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগার পর ডায়রিয়া দেখা দিলে।
- পায়খানার সাথে রক্ত গেলে বা পায়খানা কালো হয়ে গেলে।
- পায়খানার রাস্তায় প্রচন্ড ব্যথা হলে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে পেট ব্যথা বা জ্বর শুরু হলে।
- সবসময় ক্লান্ত লাগলে।
- কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ ওজন অনেক কমে গেলে কিংবা শুকিয়ে গেলে।
- রক্তশূন্যতা দেখা দিলে।
শেষ কথা
বর্তমানে প্রায় মানুষই পায়খানা ক্লিয়ার না হওয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। এই সমস্যা দূর করার জন্য আগে এই সমস্যার কারণ জানতে হবে তাহলে প্রতিকার সহজ হবে। পায়খানা ক্লিয়ার হওয়ার উপায় জেনে এবং পায়খানা হওয়ার ঔষধ খাবেন। আশা করি দ্রুত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা হলে করণীয়। বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার সিরাপ।
Leave a Reply