পেস্তা বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা। পেস্তা বাদাম গাছের ছবি।

পেস্তা বাদাম দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন সুস্বাদু। যে কোন বাদামই হোক তা সুস্বাদু ও এর উপকারিতা রয়েছে। তেমনই পেস্তা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। পেস্তা বাদাম সাধারণত সেমাই, পায়েস, পোলাও তে দেয়। তাতে খাবারের আলাদা ঘ্রান, স্বাদ বেড়ে যায়। তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এর দেখা মিলে বিভিন্ন আয়োজনে।

পেস্তা বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা 

এই পেস্তাবাদাম খাবার ছাড়া ও বিভিন্ন ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে। এই বাদাম ভারতে বেশি উৎপাদিত হলেও সারা বিশ্বে এই বাদাম জনপ্রিয়। কারণ বড় বড় রোগের জন্য অনেক সময় ডাক্তাররা ও বাদাম খেতে বলে। কারণ বাদামে পুষ্টি গুনাগুন অনেক। বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পেস্তা বাদাম খুবই উপকারি।

পেস্তা বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা।

এই পেস্তাবাদাম সুস্বাদু ও পুষ্টি গুনাগুন এর জন্য অন্যান্য বাদামের তুলনায় এই বাদাম অনেক দামি। তাই সবসময় খাওয়া হয়না। আবার এই পেস্তাবাদাম অনেকে খেতে ও পারেন না। তবে বিভিন্ন মজাদার আইটেমে বাদামের ফ্লেভার দেওয়ায় যারা না খায় তখন তারা ও খায়। বিশেষ  করে বাদামের ফ্লেভারের আইসক্রিমে পেস্তা বাদাম দেওয়া হয় তখন সবাই খায়।

তাই আজকের এই আর্টিক্যালে পেস্তা বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা এবং এর পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই পেস্তা বাদাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিক্যালটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেস্তা বাদাম কি?

পেস্তা বাদাম হল এক প্রকার বাদাম যাকে ইংরেজিতে  Pistachio বলা হয়।  এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Pistacia vera । পেস্তা বাদামের গাছ ছোট হয় এবং পর্নমোচী মধ্য এশিয়া জাত কারণ এই বাদাম এশিয়াতেই উৎপাদন হয়ে থাকে । পেস্তা বাদামের রঙ দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন  সুস্বাদ এবং মনোরম হাল্কা গন্ধ এবং ভালো  সংরক্ষণ গুনের জন্য, সারাবিশ্বে পেস্তা বাদাম অধিক জনপ্রিয়। এবং দামী ও অনেক।

আরো পড়ুনঃ মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা 

পেস্তা বাদামের উপকারিতা

এই পেস্তা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এই পেস্তাবাদাম খাবারের স্বাদ কে বাড়িয়ে দেয় । এই বাদামের পুষ্টি গুনাগুন অনেক যার ফলে দেখা যায় এই পেস্তা বাদাম বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত খাদ্যের মধ্যে অন্যতম একটি খাদ্য যা সবাই খেতে পছন্দ করে । এই পেস্তা বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি এবং শরীরে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে ।

এই পেস্তা বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের রক্তকে পরিশুদ্ধ করে তুলে। এমনকি বড় বড় রোগ  মরণ ঘাতী ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ থেকেও রক্ষা করতে পারে । এই পেস্তা বাদাম নিয়মিত খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে নিরাময় লাভ করা যায়। তো চলুন জেনে নেই পেস্তা বাদাম খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা সমূহ।

হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে:

পেস্তা বাদাম রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন কম তারা পেস্তা বাদাম খেতে পারেন । বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি ৬ প্রোটিন উপাদান যা রক্তে অক্সিজেন বহন করে থাকে। আপনার রক্তের হিমোগ্লোবিন ও অক্সিজেন কমে গেলে প্রতিদিন নিয়মিত পেস্তা বাদাম খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন ও অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করে:

পেস্তা বাদাম ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে । মাত্র এক কাপ পেস্তা বাদাম খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় ৬০ শতাংশ ফসফরাস পূরণ করে । এই পেস্তা বাদামে বিদ্যমান ফসফরাস এবং প্রোটিনকে অ্যামিনো অ্যাসিডে আস্তে আস্তে ভেঙ্গে দেয়, ফলে মানুষের শরীরের গ্লুকোজ শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। যার ফলে পেস্তা বাদাম খেলে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সুস্থ ত্বকের জন্য সহায়তা করে থাকে:

আপনি যদি সুস্থ, মসৃণ ও লাবন্যময় ত্বক পেতে চান? তাহলে আপনি নিয়মিত পেস্তা বাদাম খেতে পারেন। পেস্তা বাদামে ভিটামিন ই রয়েছে। আর ভিটামিন-ই  স্বাস্থ্যকর চামড়ার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। আবার পেস্তা বাদামের তেল আপনার ত্বককে সুন্দর ও ময়শ্চারাইজ করতে সাহায্য করবে এবং শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি দিবে । এর পাশাপাশি  এটি সূর্যের ক্ষতিকর uv রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে এবং ত্বকের চামড়া কে সতেজ রাখে।

স্নায়ুবিক সিস্টেম:

পেস্তা বাদামে থাকা ভিটামিন বি ৬ আমাদের স্নায়বিক সিস্টেমের জন্য খুবই উপকারি ।  এই পেস্তায় থাকা ভিটামিন আমাদের নার্ভের তন্ত্রগুলির চারপাশে এক প্রকার মায়েলিন ঘনত্ব তৈরি করে যা নার্ভের তন্ত্রগুলির মাধ্যমে অন্য স্নায়ু থেকে বার্তা প্রেরণ করে থাকে। যাকে বলা হয় স্নায়ুবিক সিস্টেম। পেস্তা বাদাম খেলে ামাদের স্নায়ুবিক সিস্টেম সবসময় সচল থাকে।

চোখের সমস্যা থেকে রক্ষা করে:

পেস্তা বাদাম আমাদের চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এটা চোখের  জন্য খুব উপকারি একটি খাবার। এটি চোখের বিভিন্ন রোগের সমস্যা থেকে চোখ কে রক্ষা করতে পারে। নিয়মিত পেস্তা বাদাম খেলে বৃদ্ধ বয়সে চোখের সাধারণ যেই সমস্যা দেখা দেয়  এবং যার ফলে চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে যায় ওইসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে । এই পেস্তা বাদাম চোখের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি কারী কোষগুলো থেকে রক্ষা করে।

হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে :

এই পেস্তা বাদাম নিয়মিত খেলে আপনার হার্ট সুস্থ থাকে, এবং হার্টের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে । সুতরাং পেস্তা বাদাম নিয়মিত খেলে পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করে হার্টকে শক্তিশালী করে তোলে। এর পাশাপাশি খারাপ এলডিএল কমাতে এবং ভাল এলডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ কাজু বাদাম কিভাবে খাবেন? কাজু বাদামের উপকারিতা। 

রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:

আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে সহজেই বিভিন্ন রোগ বাসা বাধে। অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যায়। তাই আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি হবে তত ভাল হবে তখন আমরা সহজেই অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবো। এই পেস্তা বাদামে থাকা ভিটামিন বি ৬, এটি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে:

মরণঘাতী যত গুলো  মারাত্মক রোগ রয়েছে তার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম যা সহজেই নিরাময় করা যায় না। কেউ যদি নিয়মিত পেস্তা বাদাম খায়, তবে তার এই মরণব্যাধি মারাত্মক রোগ হওয়া থেকে বেঁচে থাকতে পারবে। এই পেস্তা বাদামে বিদ্যমান ভিটামিন বি ৬, যা রক্তের কোষের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।

চুলের সমস্যা দূর করে:

চুলের সমস্যা নাই এমন মানুষ পাওয়া দূস্কর। পেস্তা বাদাম খেলে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে থাকে।  পেস্তা বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড থাকে, যা  চুলের গোঁড়াকে শক্তিশালী  ও ঘন করে তোলে। তবে এই বাদাম ব্যবহার করে যে হেয়ার মাস্ক তৈরি করা হয় তা আপনার চুলের ভেতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে এবং চুলের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করে থাকে। এর পাশাপাশি আরো চুলের আগা ফাটা ও চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি  দিবে।

জ্বাপোড়া থেকে রক্ষা করে:

পেস্তা বাদাম খেলে শরীরের যে কোন  জ্বালাপোড়া প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬ সমৃদ্ধ পেস্তা বাদাম শরীরের যে কোন সমস্যা সমাধানে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।

পেস্তা বাদামের পুষ্টি গুণাগুণ

পেস্তাবাদামে পুষ্টি গুনাগুন অনেক। পেস্তা বাদামে  একধরনের লুটেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান  আছে। মানুষের অতিরিক্ত বয়স হলে তখন বিভিন্ন শারীরিক রোগ বা  সমস্যা দেখা যায়। এরমধ্যে কিছু হলো, মাংসপেশির দুর্বলতা, চোখের ছানির সমস্যা, চামড়া কুঁচকে যাওয়া  ইত্যাদি। এই পেস্তা বাদাম অতিরিক্ত বয়সের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

প্রোটিনের সরবরাহের  সবচেয়ে বড় উৎসের মধ্যে একটি  হচ্ছে পেস্তা বাদাম।

এই পেস্তা বাদামে সব থেকে বেশি যেই ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে থাকে, সেটি হলো ভিটামিন বি-৬।

পেস্তা বাদাম আরো যেসব রাসায়নিক উপাদানের গুরুত্বপূর্ণ উৎস তা হচ্ছে পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি।

পেস্তা বাদামে রয়েছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট উপাদান , যা কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

পেস্তা বাদামে অন্যান্য বাদামের চেয়ে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোস্টেরল উপাদান রয়েছে । এই উপাদান ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করে থাকে।

এই পেস্তাবাদাম আমাদের দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা ও লিভারের সমস্যায় বেশ উপকারী। এই পেস্তা বাদাম শরীরের  রক্ত পরিশুদ্ধর কাজও করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ কিসমিস কিভাবে খাবেন ও কিসমিস খাওয়ার উপকারীতা

প্রতি ১০০ গ্রাম পুষ্টিমানে পেস্তা বাদামে পুষ্টি উপাদান হিসেবে রয়েছে-

শর্করা, ২৭.৫১ গ্রাম, চিনি ৭.৬৬ গ্রাম, ফাইবার ১০.৩ গ্রাম, স্নেহ পদার্থ ৪৫.৩৯ গ্রাম, প্রোটিন ২০.২৭ গ্রাম, লুটিন জিজানথেন ১২০৫ মাইক্রোগ্রাম, থায়ামিন বি১ ০.৮৭ মিঃগ্রাঃ, রিবোফ্লাভিন বি২ ০.১৬০ মিঃগ্রাঃ, ন্যায়েসেন বি৪ ১.৩০০ মিঃগ্রাঃ, ভিটামিন বি৬ ১.৭০০ মিঃগ্রাঃ, ফোলেট বি৯ ৫১ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন সি ৫.৬ মিঃগ্রাঃ, ভিটামিন ই ২.৩০ মিঃগ্রাঃ। এছাড়াও আছে, ক্যালসিয়াম ১০৫ মিঃগ্রাঃ, লোহা ৩.৯২ মিঃগ্রাঃ, ম্যাগনেসিয়াম ১২১ মিঃগ্রাঃ, ফসফরাস ৪৯০ মিঃগ্রাঃ, পটাসিয়াম ১০২৫ মিঃগ্রাঃ, দস্তা ২.২০ মিঃগ্রাঃ।

পেস্তা বাদাম গাছের ছবি

পেস্তা বাদাম গাছের ছবি

পেস্তা বাদাম খাওয়ার নিয়ম

এই পেস্তা বাদাম যখন যেভাবে ইচ্ছা খেতে পারবেন। তবে এই পেস্তা বাদাম খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে । এই নিয়মগুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করে আপনি যদি পেস্তা বাদাম খান তাহলে অবশ্যই আপনি এর ভাল ফলাফল বা এর উপকার পাবেন। তাই চলুন জেনে পেস্তা বাদাম খাওয়ার নিয়ম ।

পেস্তা বাদাম খাওয়ার সময় অবশ্যই উপরের খোসা ছড়িয়ে তারপর খাবেন। পেস্তা বাদাম কাঁচা খেলে এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়  কেননা সিদ্ধ করে খেলে এর গুনাগুন কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়। যদি কাঁচা বাদাম খেতে অসুবিধা হয় বা কেউ যদি কাঁচা খেতে না পারেন তাহলে পেস্তা বাদামের সাথে মধু দুধ ইত্যাদি জাতীয় কিছু মিশিয়ে নিতে পারেন এতে বাদামের পুষ্টি গুনাগুন যেমন ঠিক থাকবে তেমনি বাদাম খেতেও সুস্বাদু হবে।

পেস্তাবাদাম সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে । রাতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন আবার ভিজানো ছাড়া খোসা ছড়িয়ে সকালে খালি পেটে পেস্তা বাদাম খাবেন। সকারে পেস্তা বাদাম খেলে দ্রুত শরীরে পুষ্টিগুণ ও হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

পেস্তা বাদাম আপনি ভাজা, কাঁচা কিংবা সালাদ এর মিশিয়ে ও খেতে পারেন। এবং যে কোন সময় খেতে পারেন।

পেস্তা বাদাম কতটুকু খাবেন

দৈনিক আপনি যতটুকু খেতে পারেন খাবেন তবে চেষ্টা করবেন যেন দৈনিক কমপক্ষে ছয় থেকে ষাট টি পেস্তাবাদাম  খেতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে দৈনিক ৩০ টি খাওয়া উত্তম।

পেস্তা বাদাম খাওয়ার অপকারিতা


পেস্তা বাদামের অপকারিতা
তেমন কিছু নাই তবে অতিরিক্ত পরিমাণে পেস্তা বাদাম খেলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন, কাশি , হাঁচি, অ্যালার্জির সমস্যা , ফুসকুড়ি এবং মুখ ফোলা ফোলা ভাবের মতো লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে। আবার অতিরিক্ত পেস্তা বাদাম খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া, পেট খারাপের সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী সাভাবিক পরিমান খেলে কোন সমস্যা হয়না।

পেস্তা বাদামের দাম

পেস্তা বাদামের দাম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে ১ কেজি পেস্তা বাদামের গড় দাম ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা। বাজারে খোসাযুক্ত এবং খোসা ছাড়া উভয় ধরণের বাদাম কিনতে পাওয়া যায়।

শেষ কথা

পেস্তাবাদামে খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন পুষ্টি উপাদানে ও ভরপুর একটি খাবার। নিয়মিত পেস্তা বাদাম খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন প্রকার পুষ্টির চাহিদা যেমন পূরণ হয় তেমনি শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।পেস্তা বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি তারপর ও  যদি পেস্তাবাদাম সম্পর্কে কারোর কোন মন্তব্য থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *