মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা: মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।দুটায় প্রাকৃতিক মহৌষধ নামে পরিচিত। যে কোন রোগ বা সমস্যা দূর করতে মধু ও কালোজিরা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কাজ করে থাকে। আমাদের দেহের বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ সকল রোগের কাজ করে। তাই আমরা মধু ও কালোজিরা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিক্যালে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

প্রথমেই আমরা মধুর কথা বলি। মৌমাছি বিভিন্ন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে থাকে। বলা হয়ে থাকে মধুতে ৪৫ টি খাদ্য ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রাচীন কাল থেকেই মধু কে মানুষ মহৌষধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। মানুষ মিষ্টির পরিবর্তে কখনো কখনো মধু ব্যবহার করে থাকে। মধুতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং যে কোন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থাকে। 

তারপর কালোজিরা সাধারণ আমরা মসলা হিসেবেই ব্যবহার করি বেশি কিন্তু তা ছাড়াও কালোজিরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। কালোজিরা আয়ুর্বেদীয় , ইউনানী, কবিরাজী ওলোকজ বা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ডাক্তাররা কালোজিরা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। আবার কখনো বিভিন্ন খাবারের আইটেমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন,  নিমকি বা কিছু তেলে ভাজা খাবারে স্বাদ বাড়িয়ে আনতে কালোজিরা বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

তাছাড়া আমরা  অনেকেই কালজিরার ভর্তা খেয়ে খাই আবার তেল হিসেবে ও ব্যবহার করে থাকি । অনেকে আবার কালোজিরা খেতে পছন্দ করেন না বা খেতে ও পারেন না । এটি পাঁচ ফোড়নের মসলার একটি উপাদান যা তরকারিতে ব্যবহার করা হয় । কালোজিরা  বীজ থেকে তেল তৈরি করা হয়ে থাকে। যা আমাদের শরীরে মাখলে খুবই  উপকার পাওয়া যায় ।
তাই আজকে আমরা মধু ও কালোজিরা সম্পর্কে বিস্তারিত সব কিছুই  জানবো। আজকে আমরা যেই সব বিষয় নিয়ে জানবো তা হলঃ

১. মধুর গুরুত্ব। 

২. মধু খাওয়ার নিয়ম। 

৩. মধুর উপকারিতা 

৪.কালোজিরার গুরুত্ব।

.কালোজিরা তেলের উপকারিতা।

৬.কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা। 

৭. কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম। 

৮. বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম। 

৯.কালোজিরার অপকারিতা।

প্রিয় বন্ধুরা তো চলুন জেনে নেই মধু ও কালোজিরা সম্পর্কে বিস্তারিত।

মধুর গুরুত্বঃ 

মধুর উপকারিতা সম্পর্কে  কুরআনে বলা হয়েছে -‘আর মৌমাছির পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানি নির্গত হয়, যা মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার।’ সূরা নাহল :৬৯
মধু সম্পর্কে হাদিসে রয়েছে –হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, কুরআন হলো যেকোনো আত্মিক রোগের জন্য আর মধু হলো দৈহিক রোগের জন্য। ইবনে মাজাহ।

তাই বলা যায় মধু আমাদের দৈহিক সকল রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

মধু খাওয়ার নিয়ম  

মদু খাওয়াতে কোন অপকারিতা নেই তবে একসাথে বেশি খাবেন না। যে কোন সময় শুধু মধুই হোক  বা যে কোন খাবারের সাথে খেতে পারেন। সকালের নাশতা ও হালকা খাবারে সাথে মধু খেতে পারেন । মধু খাওয়ার নিয়ম রয়েছে তবে সেটা আপনার সমস্যা অনুযায়ী খেতে হবে।
মধুতে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে যার ফলে মধু খাওয়ার পর শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। মধুর মধ্যে থাকা প্রোটিন দেহের গঠন বৃদ্ধি সাধ্ম ও ক্ষয় পূরণে যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখে ।

মধুতে থাকা রাসায়নিক উপাদান ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস শরীরের হাড় গঠনে সহায়তা করে। এবং মধুর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম হৃৎপিন্ড কে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বিভিন্ন এসিড পাকস্থলির বিভিন্ন জৈবিক ক্রিয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ করে। মধুতে শক্তিশালী জীবাণুনাশক ক্ষমতা রয়েছে যাকে বলা হয় ইনহিবিন। যার ফলে যে কোন সমস্যায় মধু খুবই কার্যকরি ভূমিকা রাখে।

মধু খাওয়ার উপকারিতাঃ

যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে মধু : 

দৈহিক শক্তি ও যৌনশক্তি বৃদ্ধির জন্য মধু খুবই উপকারি। প্রতিদিন মধু গরম দুধের সাথে পান করলে খুবই ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন কালোজিরা মধু দিয়ে চিবিয়ে খেলে বা কালোজিরার তেলের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে অথবা দৈনিক দুই চামচ আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে প্রচুর পরিমাণে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়।

পুড়ে গেলেঃ

শরীরে যে কোন জায়গায় পুড়ে গেলে মেহেদী পাতার সঙ্গে মধু দিয়ে বেটে পোড়া স্থানে লাগালে এতে পোড়াজনিত জ্বালা ও কষ্ট কমে যায়। 

 কোষ্ঠ কাঠিন্যঃ

পেটের যে কোন সমস্যায় মধু খেতে পারেন।  এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানিতে এক চামচ লেবুর রস ও এক চামচ আদার রস এবং দু’চামচ মধু মিশিয়ে খেলে অজীর্ণ রোগ দূর হয় ও কোষ্ঠ কাঠিন্য ভাল হয়। 

 রক্তচাপঃ

রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে  দু’চামচ মধুতে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও রাতে সেবন করতে পারেন। এতে রক্তচাপ স্বাভাবিক হবে।

 কাশি হলেঃ

 কাশির সমস্যা দেখা দিলে আদা ও তুলসীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে দিনে দু’তিন বার খেলে কাশি দ্রুত কমে যায়।

দাঁতের ব্যথাঃ

যদি হঠাৎ দাঁতে ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে তুলা তে সামান্য মধু লাগিয়ে ব্যথার স্থানে কিছুক্ষণ রাখলে ব্যথা কমে যাবে।

 রূপচর্চায় মধু ব্যবহারঃ

রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার আমরা সবাই জানি। মুখের যে কোন কালো দাগ, ব্রণ দূর করতে ও মুখের লাবণ্য মসৃণতা ফিরে পেতে  মধু মুখে মধু মাখতে পারেন। বা হলুদ বাটা ও দুধের সাথে মধু মিশিয়ে মুখে লাগালে ভাল ফল পাওয়া যায়।

ক্লান্তি দূর করতেঃ

পরিশ্রম করার পর ও গরমে শরীর ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে পড়লে ঠান্ডা পানির সাথে লেবুর রস ও  মধু মিশিয়ে শরবত বানিয়ে পান করতে পারেন এতে দেহের ক্লান্তি দূর হয় এবং উদ্যম ও সজীবতা ফিরে আসে।

কালোজিরার গুরুত্ব। kalizirar gurutto

কালোজিরার গুরুত্ব অনেক। কেননা আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) কালোজিরা খাওয়ার কথা বলেছেন। কারণ কালোজিরাকে বলা হয় সর্ব রোগের ঔষধ। 

কালোজিরা সম্পর্কে আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত আছে — (আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহিওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “কালোজিরা সাম ব্যতীত সমস্ত রোগের নিরাময়। আমি বললাম: সাম কি? তিনি বললেন, মৃত্যু!”)

অর্থাৎ কালোজিরা মিত্যু ব্যতিত সকল রোগের ঔষধ।  তা ছাড়াও  আমাদের দেশের সকল ডাক্তাররা বিভিন্ন রোগের নিরাময়ের জন্য কালোজিরা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ কাজু বাদাম কিভাবে খাবেন? কাজু বাদামের উপকারিতা। 

কালোজিরা তেলের উপকারিতা:

কালোজিরা থেকে তেল তৈরি করা যায় যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারি, কেননা কালোজিরার তেলে প্রায় ১০০টিরও বেশি উপকারী  উপাদান আছে। এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি। কালোজিরার অন্যতম আরো উপাদানের মধ্যে আছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল।

কালোজিরায় আরও আছে আমিষ, শর্করাও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিডসহ নানা উপকারী উপাদান। পাশাপাশি কালোজিরার তেলে আছে বিভিন্ন ধরনের এসিড যেমন,  লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, টাশিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি২, নিয়াসিন ও ভিটামিন-সি।

এর মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশক বিভিন্ন কার্যকরি উপাদানসমূহ। এতে রয়েছে ক্যন্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হর্মোন, প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক। এক কথায় বলা যায় সকল রোগ নিরাময়ের প্রতিষেধক রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ কিসমিস কিভাবে খাবেন ও কিসমিস খাওয়ার উপকারীতা ২০২১

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম। khalijira khawar Niyom

কালোজিরা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায় তবে সাধারণত মানুষ কালোজিরা দুই ভাবে খায়। এক হলো কালোজিরা মুখে নিয়ে এমনিতেই  কাঁচা চিবিয়ে খায়  এবং অন্যটি হলো কোনো কিছুর সাথে  বা ভাল করে  পিষিয়ে কালোজিরা খাওয়া যায়। আবার অনেকে কালোজিরার সাথে বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে খান। যেমন,  মধু, রসুন, হলুদ, পুদিনা-পাতা, তুলসী পাতা ইত্যাদির সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খাইতে পছন্দ করেন । তাছাড়া এসবে রয়েছেও বিভিন্নরকম উপকারিতা।

কালোজিরা সবাই খেতে পারবেন সদ্য  জম্ম হওয়া  শিশুর মা-র ক্ষেত্রে কালোজিরাকে  ভর্তা বানিয়ে খেতে পারেন । এক্ষেত্রে কালো জিরাকে আগে ভাল করে  পিষে পেয়াজ, মরিচ ও কিছুটা লবণ দিয়ে ভর্তা বানিয়ে খাওয়া যায়।কালোজিরার ভর্তার এই নিয়মটা  মায়েদের খুবই উপকারি।

আবার কালোজিরার তেলের সাথে এক কাপ পুদিনার পাতার রস এবং কমলার রস মিশ্রণ করে খাওয়া যায় এতে বেশ উপকার রয়েছে। প্রতিদিন খেলে আপনার  অতিরিক্ত দুচিন্তা দূর হয়ে যাবে ।

আরেকটা প্রশিদ্ধ নিয়ম আছে কালোজিরা খাওয়ার, সেটা হল কালোজিরা আর মধু একসাথে মিশিয়ে  খাওয়া । এভাবে খেলে অনেক উপকার রয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য।  কালো জিরা মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি ও বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে বেশ কার্যকর।

তাছাড়া কালোজিরার তেল মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন । কালোজিরার তেল তৈরি করে এটি মধুর সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন  কয়েকবার এই মিশ্রণটি খেলে শরীরের জন্য খুবই ভালো। বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে থাকা যায়। আবার কালোজিরা ও মেথি একসাথে খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। 

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও রোগ নিরাময়ে কালোজিরা খাওয়ার নিয়মঃ

উপরে আমরা কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার সাধারণ নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি । এখন আমরা জানবো কোন রোগের ক্ষেত্রে কালোজিরা কিভাবে খেলে খুব দ্রুত ওই রোগ থেকে নিরাময় হয়।

এলার্জি দূর করতে:

কালোজিরা এলার্জি দূর করতে বেশ সাহায্য করে।
কালোজিরাকে গুড়ো করে তার সাথে পেয়ারা পাতার রস মিক্স করে খেলে এলার্জির জন্য খুবই কার্যকর ।

আরো পড়ুনঃ এলার্জি দূর করার উপায় এবং দাম সহ এলার্জির ঔষধের নাম। 

স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরা :

স্বরণ শক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে। এক চা চামচ কালোজিরার তেলের সাথে এক চা চামচ পুদিনাপাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রঙ চায়ের সাথে কালোজিরার তেল  মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত খেতে হবে তাহলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায় । এভাবে প্রতিদিন খেলে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও  দূর করে দিবে । এছাড়া কালোজিরা মেধার বিকাশের জন্য  দ্বিগুণ হারে কাজ করে থাকে ।কেননা  কালোজিরার মধ্যে রয়েছে  অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক যা মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

দেহের সাধারণ উন্নতি:

দেহের উন্নতির জন্য কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন নিয়মকরে কালোজিরা সেবনে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সতেজ করে, শরীরের শক্তি বৃদ্ধিকরে ও সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। কালোজিরা প্রতিদিন নিয়মিত খেলে অরুচি ভাব, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেনের ব্যথা, চুলপড়া, সর্দি,কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে কালোজিরা বেশ চমৎকার কাজ করে থাকে। তাছাড়াও  ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কালোজিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হজমের সমস্যা দূরীকরণে:

আমাদের প্রায় মানুষেরই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। সেই হজমের সমস্যা দূর করতে পারে কালোজিরা।
হজমের সমস্যায় এক-দুই চা-চামচ কালোজিরা বেটে পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। এভাবে প্রতিদিন দু-তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যেই এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং  হজমশক্তি বেড়ে যাবে।তা ছাড়াও পেটের বিভিন্ন সমস্যা,  পেট ফাঁপাভাবও দূর হবে।

চুল পড়া বন্ধ করতে:

বর্তমানে ছেলে মেয়ের একটি কমন সমস্যা হল চুল পড়া। চুল আঁচড়ানোর পর দেখা যায় চিরুনি ভর্তি চুল। চুল পড়া সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা। চুল পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত কালোজিরা খেয়ে যেতে হবে।  কালোজিরা খেলে  চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে । ফলে চুল পড়া আস্তে আস্তে  বন্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি আরো ভাল ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করতে পারেন তাহলে চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত হবে ।

আরো পড়ুনঃ চুল পড়ার কারণ কি ও তার আধুনিক চিকিৎসা ২০২১

শান্তিপূর্ণ নিদ্রার জন্য:

কালোজিরার তেল ব্যবহারে ঘুম ভাল হয়   তাই যাদের ঘুমের সমস্যা আছে ঠিকমত ঘুম হয়না তারা কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন বা  নিয়মিত কালোজিরা খেতে পারেন।

মাথা ব্যাথা নিরাময়ে:

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা এই সমস্যায় ভুগেন। হঠাৎ করেই কোন কারণ ছাড়াই মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। যদি হঠাৎ মাথা ব্যথা শুরু হয় তাহলে  ১/২ চা চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে মালিশ করতে হবে এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল ও এক চা চামচ মধুসহ মিশিয়ে দিনে তিনবার করে খেতে হবে। এভাবে ২/৩ সপ্তাহ খেলে মাথা ব্যাথার সমস্যা ভাল হবে। তাছাড়া মাথা ব্যথায় কপালের উভয় চিবুকে ও কানের চারিপাশে প্রতিদিন ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করতে পারেন এতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।

সর্দি কাশি  দূর করতে:

সর্দি কাশি দূর করতে কালোজিরা বেশ চমৎকার কাজ করে। সর্দি কাশি দূর করতে  এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩বার খেতে হবে এবং সর্দি ভাল  না যাওয়া পর্যন্ত মাথায় ও ঘাড়ে কালোজিরার তেল  মালিশ করতে হবে। 

এছাড়াও জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর করতে  এক চা-চামচ কালোজিরার সাথে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে দ্রুত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।  সর্দি বসে গেলে এক বা দুই চা চামচ কালোজিরা একটা শুকনো কাপড়ে নিয়ে নাকের কাছে নিয়ে জোরে জোরে নাক দিয়ে তার ঘ্রান টানতে হবে তাহলে সর্দি দ্রুত ভাল হয়ে যাবে।

স্বাস্থ্য ভাল রাখতে:

শরীর সুস্থ ও ভাল রাখতে প্রতিদিন সকালে মধু আর কালোজিরা খেতে পারেন। কালোজিরা ও মধু সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে:

আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম যার ফলে সামান্য কিছু হলেই আমরা খুবই দুর্বল হয়ে যায়। তাই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত কালোজিরা খেতে হবে। কালোজিরা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দ্বিগুণ শক্তিশালী করে তুলে । ফলে প্রতিদিন  নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের দুর্বলতা দূর হয় এবং প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। এতে করে যে কোন রোগ জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে শক্তিশালী বা  প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে দুর্বল স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

বাতের ব্যাথা দূরীকরণে:

সাধারনত বয়স্ক পুরুষ এবং মহিলাদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। যদি বাতের ব্যথা হয় তাহলে সে জায়গাটা  ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে কালোজিরার তেল মালিশ করতে হবে। কালোজিরার  তেল  এক চা- চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে বা সমপরিমান মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার খেতে হবে এটা ২/৩সপ্তাহ খেতে পারলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।

বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে:

চর্মরোগের ক্ষেত্রে কালোজিরা বেশ কাজ করে।
যেখানে চর্ম রোগ দেখা দিয়েছে  সেই আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন  ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে কালোজিরার তেল মালিশ করতে হবে। এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল, সমপরিমান মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার খেতেও হবে এটা দুই/তিন  সপ্তাহ খেতে হবে। তাহলে চর্মরোগ থেকে দ্রুত সমাধান পাওয়া যাবে।

হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে:

হার্টের সমস্যায় কালোজিরা ভাল কাজ করে।
কালোজিরার তেল হার্টের রুগীদের জন্য খুবই উপকারি। এক চা চামচ কালোজিরার তেল এবং এক কাপ দুধ প্রতিদিন ২বার করে খেতে থাকলে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যেতে পারে । সাথে আরো একটি কাজ করবেন  কালোজিরার তেল দিয়ে বুকে নিয়মিত মালিশ করবেন তাহলে দ্রুত কাজ করবে ।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে:

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের অল্প কিছুতেই ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় কিংবা কমে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে
প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল ভাল করে  মালিশ করে সূর্যেরতাপে কমপক্ষে আধা ঘন্টা বসে থাকতে হবে। 

এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল ও এক চা চামচ মধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন খেতে হবে ফলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে । তাছাড়া ও  নিয়মিত কালোজিরা খেলে  রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে ফলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে।

অর্শ রোগ নিরাময়ে:

অর্শ বা পাইলস রোগ খুবই মারাত্মক।  যদি ও এই রোগটা সচারাচর হয়না তবে যাদের এই সমস্যা দেখা দেয় তারা এক চা-চামচ মাখন,  সমপরিমাণ তিলের তেল এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেলসহ প্রতিদিন সকালে  খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ খেতে হবে। তাহলে এই রোগ দ্রুত ভাল হবে।

আরো পড়ুনঃ পাইলস বা অর্শ রোগ কি? পাইলস এর লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা

শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগ সারাতে:

শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি একটি মারাত্মক সমস্যা। যাদের এই সমস্যা দেখা দেয় তারা জানে এটা কতটা মারাত্মক। যারা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় নিয়মিত  ভুগছেন। কালোজিরা আপনার এই সমস্যা থেকে দিতে পারে মুক্তি । এই সমস্যা দূর করতে আপনাকে যা করতে হবে তা হল  প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। 

নিয়মিত কালোজিরা খেলে  হাঁপানি বা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা উপশম করে। এক কাপ দুধ বা রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে কালোজিরার তেল  নিয়মিত খেলে এই সমস্যা থেকে  অনেক উপকার উপকার পাওয়া যাবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:

বর্তমান সময়ের জাতীয় রোগ হল ডায়াবেটিস। এই রোগের হার দিন দিন বেড়েই চলছে। কালোজিরা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশ কাজে দেয়। অল্প কালোজিরা  এক গ্লাস পানির সাথে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নয়মিত খেলে ডায়াবেটিস এর জন্য  অনেক উপকার পাওয়া যাবে। তা ছাড়াও  এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল, এক কাপ রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২বার করে  নিয়মিত খেলে পাশাপাশি নিয়মিত হাটাহাটি করলে  ডায়বেটিস শতভাগ  নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

যৌন শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে:

যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে কালোজিরার তেল বেশ উপকারী এটা সবাই জানি। কেননা কালোজিরা নারী পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে  সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিন আপনার খাবারে  কালোজিরা রাখলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা দিন দিন  বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির অনেকটাই সম্ভাবনা তৈরি করে। 

যারা হস্তমৈথুন করে যৌনসক্ষমতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন  তাদের দুশ্চিন্তা  কালোজিরা দূর করে দিবে।  যেভাবে খাবেন তা হল  একচা-চামচ মাখন, এক চাচামচ জাইতুনের তেল সমপরিমাণ কালোজিরার তেল ও মধুসহ দৈনিক ৩বার  এভাবে ৪/৫ সপ্তাহ  খেলে এর উপকারিতা পরিলক্ষিত হবে। কালোজিরার তেল যৌনাঙ্গে মালিশ করলে ও উপকার পাওয়া যায়। 

অনিয়মিত মাসিক সারাতে:

মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা একটি  কমন সমস্যা। প্রায় মেয়েদের এই সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে মাসিক হয়না। তাই এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারে এই কালোজিরা। তাই আপনাকে যা করতে হবে তা হল এক কাপ কাঁচা হলুদের রস বা এক কাপ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে প্রতিদিন  ৩বার করে নিয়মিত খেতে হবে। তাহলে অনেকটাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুনঃ মাসিক না হলে কি করবেন? দাম সহ জেনে নিন মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম ২০২১

মায়ের দুধ বৃদ্ধি করতে:

সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অনেক মায়ের বুকে দুধ শুন্যতা দেখা দেয় তখন বাচ্চার অনেক কষ্ট হয়। তাই যদি মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ না থাকে , তাহলে কালোজিরা হতে পারে মহৌষধ।কেননা কালোজিরা মায়ের দুধ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাই  মায়েরা যাদের  এই সমস্যা তারা  প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সাথে নিয়মিত খেতে হবে। নিয়মিত ১০-১৫ দিন খেলেই  দুধ বৃদ্ধি পাবে ।

 এছাড়া যাদেন এই  সমস্যা তারা সমাধানে কালোজিরা ভর্তা করে ভাতের সাথে নিয়মিত  খেলেও  উপকারে আসবে ।

গ্যাস্ট্রিক  বা আমাশয় নিরাময়ে:

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা প্রায় সবারই আছে। কালোজিরা দিতে পারে আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন এক চা-চামচ কালোজিরার  তেল সমপরিমাণ মধু সহ দিনে ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ ধরে খেয়ে যাবেন । তাহলে গ্যাস্টিক এর সমস্যা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।

ত্বকের আদ্রতার বাড়াতে:

সামনে আসছে শীতের সময়। শীতকালে ত্বকের আদ্রতা দেখা দেয়। শরীরের চামড়া কেমন কসকসা হয়ে যায় যার ফলে আমরা  বডি লোশন বা বিভিন্ন জিনিস দিয়ে থাকি। এইসব কিছুর পরিবর্তে শুধু কালোজিরার তেল অথবা জাইতুন (অলিভওয়েল) তেল আলাদা বা একসাথে মিশিয়ে  সারা শরীরে মালিশ করবেন।

 এই তেল বৃদ্ধ থেকে শিশু পর্যন্ত সবাই ব্যবহার করতে পারবে । এই তেল ব্যবহারে  আপনার শিশুর ত্বকের আদ্রতা ও লাবণ্যময় বৃদ্ধি করবে । বিশেষভাবে শিশুর ত্বকের জন্য এই পদ্ধতিতে সারা বছর ব্যবহার করতে পারেন তাহরে শিশুর শরীরের চামড়া বিভিন্ন রোগ থেকে বেঁচে থাকতে পারবে।

জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যার দূরীকরণে:

লিভারের সমস্যা মারাত্মক একটি সমস্যা। যার ফলে মিত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই ামাদের সবসময় লিভার সুরক্ষা রাখা উচিৎ। আর লিভার কে ভাল রাখতে কালোজিরা অসাধারন একটি উপাদান।
লিভারে সব থেকে যে সমস্যা দেখা দেয় তা হল ক্যান্সার। আর এই  ক্যান্সার হওয়ার জন্য দায়ী আফলা টক্সিন নামক একধরনের রাসায়নিক বিষ।

  কালোজিরা খেলে এই বিষ  ধ্বংস হয়ে যায় ।ফলে লিভার থাকে সুরক্ষা। তাই লিভার সুরক্ষার জন্য  এক গ্লাস ত্রিপলার শরবতের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে ৩বার করে ৪/৫ সপ্তাহ নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে বেশ ভাল ফলাফল পাবেন।

পিঠের ব্যাথা দূর করতে:

কালোজিরার তেল পিঠের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের বিভিন্ন  ব্যাথা থেকে উপশম পাওয়া যায়।

শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে:

কালোজিরা বাচ্চাদের শরীর দ্রুত বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে। ছোট থেকেই  শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে।ছোট থেকেই কালোজিরা খেলে  দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশে  বৃদ্ধি ঘটে। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেো দ্রুত এবং চমৎকার কাজ করে কালোজিরা।

দাঁত ব্যথা দূরীকরণে:

দাঁতের ব্যাথা অনেক কষ্টকর। যদি হঠাৎ দাঁতে ব্যথা দেখা দেয় তাহলে  কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে বা কালোজিরার তেল দিয়ে  কুলি করলে ব্যথা উপশম হবে । কালোজিরা মুখের ভিতরে থাকা বিভিন্ন রোগ জীবাণু  যেমন জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়িতে থাকা  জীবাণু ধ্বংস করে ফেলে।

কালোজিরা খাওয়ার অপকারিতা

 কালোজিরা খাওয়াতে কোন অপকারিতা নেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

গর্ভাবস্থায়

গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়া উচিত নয়। কেননা বাচ্চার সমস্যা হতে পারে।

দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে

দুইবছরের কম বয়সী বাচ্চাদের কে কালেজিরা
খাওয়ানো যাবেনা  তবে উভয় ক্ষেত্রেই  বাহ্যিক ভাবে শরীরে  ব্যবহার করা যাবে।

শেষ কথা

মধু ও কালোজিরা হলো সর্বরোগের মহৌষধ। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরের সকল ধরনের সমস্যা সমাধান ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। আশা করি আজকের আর্টিক্যালের মাধ্যমে সব কিছু বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ


Comments

6 responses to “মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা”

  1. খুব সুন্দর ও দরকারি একটি পোস্ট, যা সবারই উপকারে আসবে।

  2. ধন্যবাদ

  3. Onek Helpful Post

  4. ধন্যবাদ

  5. Very helpful post, thank you.

  6. ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *