শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন? শুস্ক ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়।How to take care of skin in winter

 শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন: বছর ঘুরে আবার চলে এলো শীত। কারো কাছে শীত খুব পছন্দ আবার কারো কাছে গরম। তবে এই শীতে আমাদের শরীরে বিভিন্ন অসুখ দেখা দেয়। শীতে ত্বক শুস্ক হয়ে যায় ঠোঁট ফেটে যায় হাত পা শরীরের চামড়া বিশেষ করে মুখের ত্বক খসখসে হয়ে যায় যা দেখতে ও খারাপ দেখায়। তাই আজকের টপিকে আমরা শীতের শুষ্ক ত্বকের কিভাবে যত্ন নিবেন। কি কি করতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

শীতে ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন? শুস্ক ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়।How to take care of skin in winter


শীতে ত্বকের যত্ন কীভাবে নেবেন?

শীতের আবহাওয়া বইছে এখন চারিদিকে ।শীতের  এই আগমনে ত্বকের যত্ন নিতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে ।আপনার ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ রাখতে চাইলে অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি থেকে দূরে থাকতে হবে বা যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। অন্যথায়  ত্বক নষ্ট বা খসখসে হয়ে যেতে পারে । তাই  সেক্ষেত্রে বাহিরে চলার সময় একটি ছাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। এখন শীতের শুরু এখন থেকেই নিতে হবে  ত্বকের বাড়তি যত্ন এবং ত্বকের প্রতি থাকতে হবে সতর্ক । তাহলে শীতের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বককে করবে মসৃণ, উজ্জল  এবং দেখাবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তাই কিছু টিপস্ দিচ্ছি যে গুলো মানলে সহজে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকবে।

আরো পড়ুনঃ ছেলেদের ত্বকের যত্ন ও ত্বকের সেরা ৫টি ক্রিম 

ত্বকে ময়েশ্চারাইজ

একটি ভাল ময়েশ্চারাইজ আপনার ত্বক কে করতে পারে সমৃদ্ধ। ত্বকের যত্ন নিতে শীতের শুরুতেই একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার কিনে রাখুন । অনেক ধরনের আছে আমি বলবো  বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডোসমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন । এগুলো খুবই ভাল এবং আপনার  ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও কোমল  রাখতে সাহায্য করবে। দিনে যখনি ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে তখনি এটি  ব্যবহার করতে পারেন।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

শীতে সানস্কিন ব্যবহার করতে ভূলবেন না। শীত চলে আসছে তাই  সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন কমে গেছে এমন কিন্তু নয় ।শীতে ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।  শীতকালে যখন বাহিরে বের হবেন তার  আধা ঘন্টা আগে এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে আপনার ত্বক থাকবে উজ্জ্বল এবং খসখসে ভাব চলে যাবে।

আর্দ্রতা বজায় রাখুন

ত্বতের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব প্রয়োজন। শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে মাঝে মধ্যে  মুখে পানির ঝাপটা দিন মুখ ধুয়ে নিবেন । তাহলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকবে সহজে ত্বক শুষ্ক হবে না।

অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন

শীত আসলেই গরম পানি ছাড়া যেন চলেই না। কেউ কেউ সবসময় গরম পানি পান করে আবার অজু গোসল যেন গরম পানি ছাড়া হয় না। তবে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। শীতে  গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত গরম পানি  দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকুন কেননা তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর ।

 অতিরিক্ত গরম পানি  মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে নষ্ট করে ফেলে যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা জোজোবা বা বাদাম তেল  মিশিয়ে নিন। এই গুলো আপনার ত্বককে আর্দ্র এবং মসৃণ করতে সাহায্য করবে ।

আরো পড়ুনঃ মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার  ৮ টি ক্রিম ও তার ব্যবহার 

ভেজা ত্বকের পরিচর্যা করুন

গোসল, অজুর পর বা  প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ত্বক ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করতে পারেন । এতে আপনার  ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকবে।

ঠোঁটের পরিচর্যা

শীত আসলেই ঠোঁটের অবস্থা হয় নাজেহাল। কারোর এমন অবস্থা ও হয় যে ঠোঁট ফেটে রক্ত পর্যন্ত বের হয়। এই ঠোঁট ফাটা থেকে বাঁচতে আমরা অনেক সময় জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজায় যেন ঠোঁট না শুকায় এবং ফেটে না যায়, কিন্তু এমন করা উচিৎ নয়। শীতে ঠোঁট ফাটা থেকে বাঁচতে প্রতিদিন কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন তাহলে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে না। আবার পেট্রোলিয়াম জেলি যেই গুলো আছে যেমন, মেরিল, লিপজেল আরো যা আছে তা ব্যবহার করতে পারেন।

চুলের যত্ন

শীত কালে চুলের আলাদা যত্ন নেওয়া উচিত।
শীতকালে কখনোই ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয় এবং চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

হ্যাট পরুন

চুলের যত্নে অনেকেই হ্যাট পরে থাকেন। শীত কালে
চুল এবং মাথার তালুর আর্দ্রতা ধরে রাখতে হ্যাট পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন হ্যাটটি যাতে বেশি টাইট না হয়।

শীতে ত্বকের যত্নে করণীয়

শীত আসার সাথে সাথেই আমাদের শরীর ত্বক এর প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত।শীতের বাতাসে আমাদের ত্বক শুস্ক হয়ে যায় চামড়া ফেটে যায়  কমে যায় ত্বকের গ্লো। তাই শীতের শুরুতে ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বক ফেটে যাবে শুস্ক হয়ে যাবে ফলে  ফাটা ত্বক নিয়ে আপনাকে শীত কাটাতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে ত্বককে  সুরক্ষা ও উজ্জ্বল রাখতে আমাদের করণীয় দিকগুলো।:

১. সাবান ত্যাগ করুন: 

শীতে সাবান ব্যবহার না করাই ভাল। সুগন্ধী যুক্ত  সাবান আপনাকে কিছু সময়ের জন্য ফ্রেস রাখতে পারলে ও আপনার ত্বককে তা রুক্ষ করে দিবে।তাই সাবান ব্যবহার করলে ও কম ব্যবহার করা উচিৎ। তাি ত্বক রুক্ষ হতে শুরু করলে ডিহাইড্রেট ফ্রি সাবান ব্যবহার করবেন না । তবে এই শীতে রুক্ষ ত্বক হতে বাঁচতে ব্যবহার করতে পরেন ক্রিমযুক্ত বডি-ওয়াশ।

২. লোশন ছেড়ে তুলে নিন ক্রিম: 

মুখে লোশন ব্যবহার না করে ক্রিম ব্যবহার করুন। কেননা শীতে বাতাসে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় তখন ত্বকের প্রচুর পরিমাণে আর্দ্রতা প্রয়োজন হয়। মুখে ক্রিম ব্যবহার করলে তা  একটা তৈলাক্ত আবরণ তৈরি করে যা মুখের আর্দ্রতা ঠিক রাখে।

৩. ঠোঁট বাঁচান: 

শীতে সব থেকে বেশি সমস্যা হয় আমাদের ঠোঁটে। শুস্ক আবহাওয়ায় আমাদের ঠোঁট ফেটে যায় কখনো কখনো রক্ত ও বের হয়। শীতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা  থেকে বাঁচাতে নিয়মিত ব্যবহার করুন নন-পেট্রোলিয়াম জেল।

৪. এবার একটা হ্যান্ড ক্রিম কিনেই নিন: 

শীতে আমাদের হাতের অবস্থা ও অনেক খারাপ হয়ে যায়। শীতের শুস্ক আবহাওয়ায় হাতের চামড়ার খুব ক্ষতি হয়। শরীরের যত্নের পাশাপাশি হাতের ও যত্ন নিতে হবে । হাতের যত্ন নিতে ব্যবহার করতে পারেন হ্যান্ড ক্রিম।  হ্যান্ড ক্রিম হাতের ত্বককে নরম করে ও রুক্ষতার হাত থেকে বাঁচায়।

৫. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: 

পানি আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা সবাই জানি। আমরা শুধু বাহিরের ত্বক পরিচর্যায় ব্যাস্ত থাকলে হবে না আমদের ভিতর থেকে ও দেহকে সজীব ও সতেজ রাখতে হবে। তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে।

৬. সবজি ও ফল খান: 

শীতে প্রচুরপরিমানে শাক সবজি পাওয়া যায়। ফল এবং শাক সবজি  আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ঘাটতি গুলো পূরণ করে। বেশি বেশি শাক সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন কেননা এই সবজি তে থাকা  ভিটামিনই আপনার স্বাস্থ্য ও ত্বককে সতেজ রাখবে। তাই শীতে ফলমূল ও শাক সবজি খাওয়ার কোন বিকল্প নেই।

আরো পড়ুনঃ এলার্জি দূর করার উপায় এবং দাম সহ এলার্জির ঔষধের নাম। 

ত্বকের খসখসে ভাব দূর করার উপায়

শীতে ঠান্ডা হাওয়ার দিনগুলোতে কমবেশি আমাদের সবারই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আবার অনেকেরই ত্বক ফেটে যায় ঠান্ডা হাওয়ায় । যাদের ত্বক সবসময় একটু শুষ্ক ও রুক্ষ প্রকৃতির হয়, তাঁদের সমস্যা অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই হয় শীতে ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেন শীত আসলে আমাদের অনেকের ত্বক অতিরিক্ত ফেটে যায়। অতিরিক্ত ত্বক ফাটার সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কারোর জন্মগত কারণে  আবার কারোর কোন রোগের কারণেও এমন হতে পারে। নিয়মিত ত্বক পরিচর্যা ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পরও অতিরিক্ত ত্বক ফাটলে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা রয়েছে তাই  কারোর এমন সমস্যা হলে দ্রুত  চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।

শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্ন 

শীত আসার সাথে সাথে সবাই ব্যস্ত শীতের পোশাক নিয়ে।কারোর আলমারিতে গরম কাপড়ের সংখ্যা প্রায় অনেক হয়ে যায়। গরম কাপড় না হয় ঠাণ্ডা থেকে পরিত্রাণ দিবে, কিন্তু ত্বকের সমস্যা?গরম কাপড় কি ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারবে?  কখনো না। শীত আসা মানেই তো রুক্ষ-শুষ্ক ত্বক নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন আর  যন্ত্রণা । তাই শুধু গরম জামা কাপড় এর পাশাপাশি  শীত থেকে নিজের ত্বককে সুরক্ষিত রাখার কথাও ভাবতে হবে।

যাদের ত্বক গরম ও শীতে সবসময়ই শুষ্ক থাকে তাদের শীত শুরু হওয়ার আগ থেকেই ত্বকের প্রতি  বিশেষ খেয়াল রাখা উচিৎ । শুষ্ক ত্বকের যন্ত্রণা কতটুকু তা যাদের এই সমস্যা তারা বুঝে সবাই। শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ত্বক রোক্ষ হয়ে যায়। শুস্ক ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।  আমাদের চারপাশে প্রাকৃতিক কিছু ময়েশ্চারাইজার রয়েছে যেমন দুধ, মধু, গ্লিসারিন ইত্যাদি  এগুলো ত্বকে ব্যবহারে ত্বকের ময়েশ্চার ফিরিয়ে আনতে পারেন ।তাই সকলের উচিত শীত আসার পূর্বে থেকেই  আবহাওয়া ত্বকের পরিচর্চা করা ও ত্বকের যত্ন নেওয়া।

কেন ত্বক শুষ্ক হয়?

ত্বক শুস্ক হওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। তবে সাধারণত শীত কালে শুস্ক আবহাওয়ার কারণে বেশিরভাগ মানুষেরই ত্বক শুস্ক হয়ে যায়। কেননা তখন ঠান্ডা আবহাওয়ায় আর্দ্রতা থাকে খুবই অল্প এবং  খুব কম সূর্যের আলো থাকে। তাছাড়া ও আরো বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন –

  • অনেকের বংশগত বা জিনগত কারণে ত্বক শুস্ক  হয়ে থাকে।
  •   বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীর থেকে তেল ও ঘাম গ্রন্থির সংখ্যা কমে যায় ফলে ত্বক শুস্ক হয়ে যায়।
  • অতিরিক্ত গরম পানি বা ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করলে ত্বক শুস্ক হয়ে যায়।
  • ধূমপান, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন এবং অতিরিক্ত নেশা জাতীয় বস্তু গ্রহণ করলে ত্বকের সমস্যা হয় রোক্ষ হয়।
  • শরীরে ভিটামিন-A ও B এর অভাবে আবার জিংক ও ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়।

আরো পড়ুনঃ পাইলস কি? পাইলস এর লক্ষণ ও ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিন

শীতে প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়ে আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। আমাদের চারপাশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক জিনিস রয়েছে যা দিয়ে সহজেই ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। 

  • শীতে ত্বক কে মসৃণ রাখতে অলিভঅয়েল এর কোন বিকল্প নেই গোসলের কয়েক মিনিট পূর্বে সারা শরীরে অলিভ ওয়েল মেখে গোসল করুন।
  • অলিভ অয়েল দিয়ে স্ক্রাব বানাতে পারেন সাথে লেবুর রস ও লবণ দিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে সারা শরীরে মুখে লাগাতে পারেন এতে শরীরের চামড়া সতেজ হবে মরা কোষ দূর হবে। শুষ্ক ত্বকে মালিশ করে দু-তিন মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন ঠিক হয়ে যাবে।
  • নারিকেল তেল শুস্ক বা  আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে দ্রুত উপকার পাবেন।
  • অ্যালোভেরা জেল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খসখসে বা রুক্ষ স্থানে লাগিয়ে রাখুন।  ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন দেখবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসছে।
  • শুধু ত্বক নয় দেহকে সুস্থ্য রাখতে প্রচুর ফলমূল শাকসবজি খান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।এবং নিয়মিত  ত্বকের পরিচর্যা করুন।
  • শীতে যাদের  পুরোনো চর্মরোগের সমস্যা রয়েছে  তাঁদের ত্বকের সমস্যা এই সময় বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রয়োজনে আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সতর্ক থাকুন।

ত্বক মসৃণ রাখার ঘরোয়া উপায়

মসৃণ ত্বক কার না ভাল লাগে। কিন্তু শীত আসলেই যেন ত্বকের সমস্যার ঝুড়ি নেই। আপনার মসৃণ ও কোমল ত্বকের রহস্য কিন্তু আপনার হাতেই রয়েছে | সবসময় আপনার ত্বক কে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। নিচে দেওয়া হলঃ  

১. ওটমিল ও দারচিনি

ওটমিল হয়তো অনেকেই চিনবে না কিন্তু আমাদের ত্বকের মৃত কোষগুলিকে খুব সহজেই দূর করে দেয় এবং ত্বককে মসৃণ করে| দারচিনি যদিও এটা মশলার কাজে ব্যবহার করা হয় তবে এটা ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। দারচিনি ব্যবহারে  আমদের ত্বকের রুক্ষতা, কসখসে ভাব বা যেকোনো ইনফেকশন, ফাইন-লাইন বা বলিরেখা এগুলি খুব সহজেই দূর করে ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করে |

উপকরণ 

২ টেবিল চামচ ওটমিল,
১/২ চামচ দারচিনি পাউডার
১ টেবিল চামচ দুধ।

পদ্ধতি

প্রথমে ওটমিল, দারচিনি পাউডার ও দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে | তারপর মিশ্রণটি আপনার ত্বকে হাত দিয়ে ৪-৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন| তারপর কিছুক্ষন অর্থাৎ ১০-১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে  মুখ ধুয়েনিন |নিয়মিত ব্যবহার করুন না হয়  সপ্তাহে ২ দিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।  ১ সপ্তাহের মধ্যেই আপনি পার্থক্য লক্ষ্য করবেন|

২. বেসন, দুধ ও হলুদ

এই তিনটি উপাদানের নাম আমাদের বেশ পরিচিত। আমাদের অনেকেই ব্যবহার ও করে। এই তিনটি উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।এটি আপনার ত্বকের মুখের সারা শরীরের রুক্ষতা, শুষ্কতা দূর করে দিবে |

উপকরণ

কাঁচা হলুদবাটা ১ চামচ
বেসন ২ চামচ,
দুধ পরিমাপ মতো।

পদ্ধতি 

প্রথমে কাঁচা হলুদ বেটে নিতে হবে ভাল করে। তারপর বেসন পরিমান অনুযায়ী নিয়ে তা দুধের সাথে ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন
এরপর এই পেস্টটি মুখে বা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে যেখানে সমস্যা ওই জায়গায় মাখুন | ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন। আপনার ত্বকের মসৃণতা একবার ব্যবহারে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন| এটি পরিক্ষিত।

শেষ কথা 

ত্বক হলো আমাদের সবচেয়ে আকর্ষনীয় জিনিস। ত্বকের সুন্দর্য কে না চায়। শীত হোক আর গরম সবসময় ত্বকের সুন্দর্য রক্ষায় নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিন। ধন্যবাদ 


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *