স্থায়ীভাবে মুখের লোম দূর করার উপায় : অনেক মেয়েই মুখের অবাঞ্ছিত লোম নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এবং বিব্রত হয়ে পড়েন। কারো কপালে বা গালে, আবার কারো ঠোঁটের উপরের বাড়তি লোমগুলো চেহারার সৌন্দর্যটাই নষ্ট করে দেয়। ত্বকের যত্ন সবই ব্যর্থ হয়ে যায় যদি মুখের ত্বকে অবাঞ্ছিত লোম থাকে। তাই আজ আপনাদের কিছু প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে বলব, যেগুলো অনুসরণ করলে স্থায়ীভাবে মুখের লোম দূর হয়ে যাবে।
স্থায়ীভাবে মুখের লোম দূর করার উপায়
চিকিৎসকদের মতে এই অবাঞ্ছিত লোম বৃদ্ধিকে হারসুটিজম বলা হয়। সাধারণত মেয়েদের শরীরে এন্ড্রোজেন বা পুরুষ হরমোনের পরিমাণ খুব অল্প। কিন্তু কখনো যদি ডিম্বাশয় বা এডরেনাল গ্রন্থি থেকে এই এন্ড্রোজেন অধিক পরিমাণে তৈরি হয় বা এন্ড্রোজেনের অধিক কার্যকারিতার কারণে এই হারসুটিজম দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুনঃ দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়
মুখের লোম দূর করার ঘরোয়া উপায়ঃ
অনেক ধরনের ট্রিটমেন্ট রয়েছে ত্বক থেকে এই অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য। কিন্তু এসবের ব্যবহারে সাময়িক মুক্তি মিললেও পুরোপুরি দূর হয় না। বেশিরভাগই খুব কষ্টদায়ক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।তবে মুখের এই অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য ঘরোয়া বেশ কিছু সহজ উপায় রয়েছে যাতে কোনো কষ্ট বা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এই শরীরের অবাঞ্ছিত লোম অপসারণের পদ্ধতিকে‘সুগারিং’বলা হয়। নিচে কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
১) হলুদ গুঁড়া:
প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ব্যথা-বেদনা থেকে সংক্রমণ, ত্বক উজ্জ্বল করা, বিভিন্ন দাগ দূর করা অর্থাৎ সব কিছুতেই হলুদ খুবই উপকারী। হলুদে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যমান এই পুষ্টিগুণগুলো মুখের লোমগুলো বাড়াতে দেয় না।
পদ্ধতি: প্রয়োজনমতো হলুদ নিন। এবার এর সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখের যেসব অংশে বেশি লোম সেখানে হলুদের পেস্টটি লাগান। পেস্টটি লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহখানেক এ পদ্ধতি অনুসরণ করুন। দেখবেন মুখের লোমের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে।
২) বেসন:
বেসনও হলুদের মতোই প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ উপাদানটি আমাদের ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। সব রকমের ফেসপ্যাকের সঙ্গেই বেসন মেশানো থাকে। বেসন প্রাকৃতিকভাবেই মুখের লোম সহজে দূর করতে পারে। নিয়মিত মুখে বেসন ব্যবহার করলে ত্বক হয় মসৃণ ও কোমল।
পদ্ধতি: প্রয়োজনমতো বেসন ও হলুদের গুঁড়া নিন। এতে সামান্য পানি দিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্টটি ভালো করে মুখে লাগান। মুখে লাগানোর পর শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার ভারী তোয়ালে চেপে না ধুয়েই ফেসপ্যাকটি মুখ থেকে উঠিয়ে নিন। এতে করে মুখের লোমও উঠে আসবে। লক্ষ্য রাখবেন যেন আইভ্রু বা চুলে এ প্যাক না লাগে। প্রয়োজন হলে কপালের শেষ সীমানায় ও আইভ্রুতে সামান্য ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন।
৩) ডিম:
চুল ও ত্বকের যত্নে অধিক ডিমের ব্যবহার হয়। ডিমে বিদ্যমান প্রোটিন যা ত্বক ও চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি: আধা টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার ও এক টেবিল চামচ চিনির সঙ্গে একটি ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবার এ পেস্টটি মুখের লোমে ব্যবহার করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, এবার ত্বকের ওপর শুকিয়ে যাওয়া স্তরটিকে ধীরে ধীরে টেনে তুলুন। দেখবেন এর সঙ্গে সঙ্গে মুখের লোমও উঠে আসছে। এটি খুবই কার্যকরী একটি পদ্ধতি, এর মাধ্যমে ঘরে বসেই ব্যথাহীনভাবে মুখের লোম তোলা যায়।
আরও পড়ুনঃ তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
৪) ময়দা ও দই
ময়দা ও দইয়ে নানা উপকারিতা রয়েছে। এমনকি এগুলো রূপচর্চায়ও খুবই কার্যকরী। এগুলোতে বিদ্যমান পুষ্টিগুণ ত্বককে উজ্জ্বল করে, ত্বকের কালো দাগ দূর করে এবং মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করে।
পদ্ধতিঃ ময়দা ও দই-এর এই প্যাকটি ত্বকের লোমের রঙের পরিবর্তন করে পাশাপাশি লোম ওঠার পরিমাণও কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ ময়দা, ১ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। লক্ষ্য রাখবেন যেন মিশ্রণটি খুব পাতলা না হয়ে যায়। এরপর এ পেস্টটি ভালো করে মুখে লাগান। বিশেষ করে নাকের নিচে, থুতনিতে এবং কপালে। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ভালো করে ঘষে মুখ থেকে তুলে ফেলুন। সপ্তাহে ৩/৪ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। দেখবেন কয়েকদিনের মধ্যেই অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়ে যাবে।
৫) চিনি ও লেবুর রস
ত্বকের জন্য চিনি ও লেবুর প্যাকটি খুবই উপকারী। এই প্যাকটি মুখের লোম দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পদ্ধতিঃ লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে দারুণ কাজ করে। লেবুর রস মুখের লোম দূর করার পাশাপাশি লোমের ঘনত্বও কমাতে সহায়তা করে। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করার ফলে ত্বকের রোমকূপ থেকে লোম দূর হয়ে যায়। এই প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে ৩ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ পানি। এই সবগুলো উপাদান একত্রে মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। এটিকে ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। এবার এই মিশ্রণটি ভালোকরে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ থেকে ভালোভাবে ঘষে তুলে ফেলুন। এতে লোম দূর হয়ে যাবে। সপ্তাহে ৩/৪ এই নিয়মে করুন। ফলে দ্রুত মুখের লোম থেকে মুক্তি পাবেন।
৬) কফি
কফি পান করার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যত্নেও কফি ব্যবহার করা যায়। কফিতে থাকা ক্যাফেইন সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা রাখে। এটি মুখের লোম দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পদ্ধতিঃ কফির স্ক্রাব খুবই কার্যকরী একটি উপায় মুখের লোমে থেকে মুক্তি পেতে। ক্যাফেইন ত্বকের গভীর ঢুকে লোম দূর হতে সাহায্য করে। এই স্ক্রাবটি তৈরি করার জন্য লাগবে ২ টেবিল চামচ কফি, ১ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। প্রথমে একটি বাটিতে কফি ও চিনি মিশিয়ে নিন। এরপর এতে মধু ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশিয়ে নিন। কফি ও চিনি পুরো পুরি গলবে না। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এভাবে ৫ মিনিটের মতো ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করুন। এতে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন।
৭) পেঁপে ও হলুদ
পেঁপে একটি পরিচিত ফল। এতে বিদ্যমান পাপাইন নামক উপাদান যা লোম তুলতে খুবই কার্যকরী। আর ত্বকের যত্নে হলুদের কোনো জুড়ি নেই। এটি ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে।
পদ্ধতিঃ প্রথমে পাকা পেঁপের খোসা ছাড়িয়ে কয়েক টুকরো কেটে নিন। টুকরো গুলোকে হাত দিয়ে ভালোকরে চটকে নিন। এবার এর সঙ্গে আধা চা চামচ হলুদ মেশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এরপর এই প্যাকটি ভালোকরে মুখে লাগান।কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
৮) দুধ ও জেলোটিন
ত্বকের লোম দূর করতে জেলোটিন দারুণ কাজ করে ।
পদ্ধতিঃ এই প্যাকটি তৈরি করার জন্য প্রথমে এক টেবিল চামচ জেলোটিন ও তিন টেবিল চামচ দুধ নিন। এরপর এর সঙ্গে আধা চা চামচ লেবুর রস মেশান। এরপর এই মিশ্রণটি গরম করে নিন। গরম হয়ে গেলে এটিকে নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে একটু পুরু করে প্যাকটি মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ধীরে ধীরে টেনে তুলুন। এতে মুখ পরিষ্কার হবে, ত্বকের লোম দূর হয়ে যাবে এবং ত্বকও সুন্দর থাকবে।
আরও পড়ুনঃ চোখ ওঠা রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
৯) মধু ও লেবুর রস
মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, ত্বক নরম রাখে, ত্বকের বলিরেখা ও কালচে ভাব দূর করে। আর লেবু প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা ত্বক ভালো রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। মধু ও লেবুর তৈরি প্যাকটি মুখের লোম দূর করতে খুবই কার্যকরী।
পদ্ধতিঃ প্রথমে দুই টেবিল চা চামচ চিনি ও লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ মধু একত্রে মিশিয়ে গরম করুন। তিন মিনিট মতো গরম করুন, এরপর এতে পরিমাণ মতো পানি মেশান। মিশ্রণটা যদি পাতলা হয়ে যায়, তবে এটি ঠান্ডা হতে দিন। মিশ্রণটি মুখে দেওয়ার সময় প্রথমে ঠোঁটের ওপরে কর্নস্টার্চ লাগিয়ে নিন, তারপর মিশ্রণটা লাগান। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। খুব দ্রুতই ভালো ফলাফল পাবন।
১০) ওটমিল এবং কলা
কলা ও ওটমিলে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। এগুলো রূপচর্চায়ও খুবই কার্যকরী। কলা ও ওটমিলের প্যাকটি মুখের লোম দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পদ্ধতিঃ এই প্যাকটি তৈরির জন্য প্রথমে ২ টেবিল চামচ ওটমিল গুঁড়োর সঙ্গে একটা পাকা কলা ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই পেস্টটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে নিন।১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি লোম দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
১১) হলুদ ও দুধ
হলুদ ও দুধের মিশ্রণটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে। পাশাপাশি মুখের অবাঞ্ছিত লোমও দূর করে।
পদ্ধতিঃ প্রথমে ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ দুধ মেশান। মুখের যে অংশে লোম রয়েছে ঐ অংশে মিশ্রণটা লাগান। এরপর ২০ মিনিটের মতো রেখে ভালোকরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি অবাঞ্চিত লোম দূর করতে দারুন কাজ করে।
মুখের লোম দূর করার ক্রিম
মুখের অবাঞ্চিত লোম দূর করার জন্য কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে এই অবাঞ্চিত লোম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আজকের এই আর্টিক্যালে ফেস হেয়ার রিমুভাল ক্রিম অর্থাৎ মুখের লোম দূর করার ক্রিমের নাম নিচে দেওয়া হলো-
১) অ্যাভন সেনসিটিভ স্কিন হেয়ার রিমুভার ক্রিম (AVON SKIN SO SOFT FACIAL HAIR REMOVAL CREAM)ঃ
অ্যাভন রিমুভাল ক্রিম মেডো ফোম ফরমুলার দ্বারা তৈরিকৃত, এটি সংবেদনশীল ত্বকের জন্যই তৈরি। এতে কোন সুবাস থাকে না, যারা গন্ধ সম্পর্কে সংবেদনশীল তাদের জন্য এটি সবচেয়ে ভাল। ব্যবহারের দিক থেকেও খুবই সহজ। এতে রয়েছে ডিম ও এলোভেরার নির্জাস। স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতেও (ঠোঁট চিবুক অথবা চোয়াল) এটি ব্যবহার উপযোগী। হেয়ার রিমুভ বা লোম দূর করার পাশাপাশি এটি স্কিন কে উজ্জল বা সাইন করে থাকে।
২) সের্গেই কেয়ার হেয়ার রিমুভার ক্রিম ফর ফেস (SURGI CARE HAIR REMOVER FOR FACE, EXTRA GENTLE)
এই ক্রিমটি আমেরিকার সেরা ফেস হেয়ার রিমুভার ক্রিম।এই ক্রিমটির বিশেষত্ব হলো গ্রিনটি, ওট এবং আর্নিকাই। প্রো ভিটামিন বি এবং অ্যালোভেরা, এটিকে আরও কার্যকর করে তোলে। এই ক্রিমটির আরও একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো ম্যাপেল মধুর অন্তর্ভুক্তিকরন। এতে বিদ্যমান পাকা পেপের নির্যাস, সাইট্রাস এবং অলিভ, মুখের নতুন চুল গজাতে বাধা দেয়। এটি ব্যবহারের ৪ মিনিটের মধ্যেই ফলাফল পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুনঃ নাইট ক্রিম যেভাবে ব্যবহার করবেন। বাজারের সেরা ৫ টি ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম।
৩) ওলে স্মুথ ফিনিশ ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভাল কিট (OLAY SMOOTH FINISH FACIAL HAIR REMOVAL KIT)
এটি ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভাল অর্থাৎ অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ক্রিম। এই ক্রিমটি ঠোট, গালের অবাঞ্ছিত লোম থেকে মুক্ত করে। এই ক্রিমটি ব্যবহারের মাত্র ৪ মিনিটেই আপনি পাবেন স্মুথ এবং হেয়ার ফ্রী উজ্জ্বল স্কিন। এই ক্রিমটি কোনো সাইড এফেক্ট বিহীন আপনি জাস্ট তিন মাস ব্যবহার করবেন। সবথেকে বড় বিষয় হলো, এটি ব্যথাহীনভাবে মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে সাহায্য করে।
৪) এন্ডরিয়া ভিজ্যাজ ক্লিয়ার জেন্টেল ফেস হেয়ার রিমুভার (ANDREA VISAGE CLAIR GENTLE HAIR REMOVER FOR THE FACE)
যেকোনো ট্রিটমেন্ট এর পরে স্কিন স্মুথ করতে এই ক্রিমটি খুবই কার্যকরী। এই ক্রিমটি ত্বক, হাত পা এবং পেটের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ব্যবহারে ত্বকের ওপর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। এই ক্রিমের বিশেষ গুণ হলো- এটি অবাঞ্ছিত লোম সমূহ একদম গোড়া থেকে বিনষ্ট করে।
৫) গিগি হেয়ার রিমুভার ক্রিম (GIGI HAIR REMOVAL CREAM)
গিগি হেয়ার রিমুভার ক্রিম ব্যবহার করা হয় শুধুমাত্র মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য। এই ক্রিমে আছে শশা এবং অ্যালোভেরার নির্যাস। যদি কেউ শুধুমাত্র ফেস হেয়ার রিমুভার ক্রিম খুঁজে থাকেন তবে এটি আপনার জন্য একদম পারফেক্ট ক্রিম। এই ক্রিমটি শুধুমাত্র ত্বকের উজ্জ্বলতার ওপরেই প্রভাব ফেলে, আর্দ্রতার উপর কোন প্রভাব ফেলে না।শশার নির্যাস থাকায় এর নিয়মিত ব্যবহারে ত্বককে কঠিন হতে দেয় না।
শেষকথাঃ
এই আর্টিক্যাল এ প্রাকৃতিক কিছু উপায় এবং কিছু উপকারী ক্রিমের নাম দেওয়া হয়েছে । যেগুলো ব্যবহারে ত্বকের ওপর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না। তবে ক্রিম ব্যবহারের চেয়ে প্রাকৃতিক উপায় গুলো অনুসরণ করারই শ্রেয়।
Leave a Reply