অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও অপকারিতা

অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও অপকারিতা: অশ্বগন্ধা নাম শুনলে সর্ব প্রথম যেটা মাথায় আসে তা হল এটা ঔষধি গাছ।আমাদের দেশে বা বিভিন্ন দেশে ও ঔষধি গাছ হিসেবে এর ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। অশ্বগন্ধার নাম শুনেনাই এমন মানুষ খুব কমই আছে। সারা দেশেই এই অশ্বগন্ধা ঔষধ হিসেবে মানুষ ব্যবহার করে আসছে। এই গাছের উপকারিতা অনেক। 

অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও অপকারিতা 

অশ্বগন্ধা একধরনের ভেষজ বা ঔষধি উদ্ভিদ। অশ্বগন্ধা গাছের পাতা সিদ্ধ করলে ঘোড়ার মূত্রের ন্যায় একধরনের গন্ধ বের হয়, তাই এর নাম অশ্বগন্ধা বলা হয়। ঔষধ হিসেবে এই গাছের ব্যবহার আদিকাল থেকেই হয়ে আসছে। বিভিন্ন সমস্যায় এই গাছ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অশ্বগন্ধায় ফাইটোক্যামিকেল উপাদান থাকার কারণে এর গুনাগুন অনেক। জানা যায় যে, অশ্বগন্ধার মধ্যে ৩৫ রকমের ফাইটোক্যামিকেল র‍য়েছে। 

অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও অপকারিতা

যার ফলে অশ্বগন্ধার গাছ ও গাছের বিভিন্ন অংশ যেমন, অশ্বগন্ধার পাতা, ফল, বীজ, মূল সবই বিভিন্ন ঔষধ বা উপকারে ব্যবহার হয়ে থাকে।

আজকের এই আর্টিক্যালে অশ্বগন্ধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। অশ্বগন্ধা উপকারিতা ও অপকারিতা , অশ্বগন্ধা খাওয়ার নিয়ম, দাম, অশ্বগন্ধা গছের ছবি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিক্যালটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

অশ্বগন্ধা কি?

প্রাচীনকালে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহার করা হতো। বিভিন্ন ভেষজ গাছ দিয়ে বা তার পাতা দিয়ে ঔষধ তৈরি করা হতো। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা সম্পর্কে যারা জানেন তারা অশ্বগন্ধার নাম নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। কারণ, প্রাচীন আয়ুর্বেদী চিকিৎসায় অশ্বগন্ধার ব্যবহার অনেক।

আরো পড়ুনঃ থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

অশ্বগন্ধার বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসবে ভাল কাজ করে থাকে। এর উপকারিতা অনেক। সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয় মানসিক চাপ দূর করার জন্য। তাই অশ্বগন্ধা কে কেউ কেউ অ্যাডাপ্টোজেন ও বলে থাকে।এর অর্থ মানসিক চাপ দূর করার এজেন্ট।

অশ্বগন্ধার নামটি অনেকের কাছে অদ্ভুত মনে হলে ও  মূলত এর নামটি এসেছে এর গাছের শিকড় থেকে। অশ্বগন্ধা গাছের মূল থেকে ঘোড়ার মতো এক ধরনের গন্ধ আসে, বা এর পাতা সিদ্ধ দিলে ও ঘোড়ার মত গন্ধ আসে তাই অশ্ব বা ঘোড়ার সাথে মিল রেখে এর নাম রাখা হয় অশ্বগন্ধা । অশ্বগন্ধার বৈজ্ঞানিক নাম উইথানিয়া সমনিফেরা (Withania Somnifera)

অশ্বগন্ধা গাছ চেনার উপায়

গাছের বর্ণনা দিলে তা জেনে গাছ চেনা খুব কঠিন। তারপর ও তার কিছু বৈশিষ্ট্য বললে চিনতে সহজ হবে। অশ্বগন্ধা গাছে ফল হয় তা দেখতে অনেকটা পাকা টমেটোর মত লাল রঙের। আর এই গাছের পাতা সেদ্ধ করলে ঘোড়ার মূত্রের মত গন্ধ বের হয়। সহজে চিনার জন্য গাছ ও তার ফলের ছবি নিচে দেওয়া হল।

অশ্বগন্ধা গাছের ছবি

অশ্বগন্ধা গাছ সাধারণত বন জঙ্গলে বা পুকুর বা নদীর পাশে পাওয়া যায়। নিচে অশ্বগন্ধা গাছের ছবি দেওয়া হলঃ

অশ্বগন্ধা গাছের ছবি

অশ্বগন্ধা গাছের ছবি

অশ্বগন্ধা গাছের ফল

আরো ভালো করে চিনার জন্য অশ্বগন্ধা গাছের ফলের ছবি ও দেওয়া হলঃ

অশ্বগন্ধা গাছের ফল
অশ্বগন্ধা গাছের ফল 

অশ্বগন্ধার উপকারিতা

অশ্বগন্ধার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা। অনেক মানুষ একে ঔষধি গাছ হিসেবেই চিনে। এর কারণ, বিভিন্ন রোগ বা সমস্যা দূর করতে খুব ভাল কাজ করে। নিচে কয়েকটি অশ্বগন্ধার উপকারিতা উল্লেখ করা হলঃ

অনিদ্রা ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ

অশ্বগন্ধার সব থেকে জনপ্রিয় বা কার্যকরি উপকারিতার একটি হল মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি ক্লান্তি ও দূর করে খুব সহজেই। যখন ক্লান্তি দূর হয়ে যায় ফলে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে , যা তার অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে। অশ্বগন্ধার মধ্যে থাকা অ্যানজাইলটিক উপাদান মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে মানসিক চাপ কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে

ক্যান্সার হল আত্মঘাতী ব্যাধি যার শেষ মৃত্যু। কেউ যদি নিয়মিত অশ্বগন্ধা খায় তাহলে তার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম থাকে। আর ক্যান্সারে আক্রান্ত রুগী খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। যাদের নিয়মিত কেমোথেরাপি দিতে হয় তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে অশ্বগন্ধা কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

ডায়বেটিস সমস্যায়

ডায়াবেটিস হল আমাদের দোশের জাতীয় রোগ বলা হয়। কারণ, প্রায় মানুষই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই অশ্বগন্ধার মূল ও পাতার রসে থাকে অ্যান্টি-ডায়বেটিক প্রাকৃতিক উপাদান যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে করতে দারুণ সাহায্য করে।এবং এর মূল ও পাতার কোষে ফ্ল্যাভোনয়েডস নামক উপাদান থাকে যা ডায়বেটিস রোগীর দেহে ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

যৌনক্ষমতা বাড়াতে

যারা যৌন সমস্যায় ভোগতেছেন তাদের জন্য অশ্বগন্ধা খুবই উপকারে আসবে। কারণ, মানুষের দেহে টেস্টোস্টেরন ও প্রোজেস্টেরনের পরিমাণ বাড়াতে অশ্বগন্ধা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই হরমোন বৃদ্ধির ফলে যৌন অক্ষমতা দূর হয় এবং যৌন আকাঙ্ক্ষা ও যৌনক্ষমতা দুটিই বৃদ্ধি পায়।

থাইরয়েডের সমস্যায়

থাইরয়েডের সমস্যা দূর করতে অশ্বগন্ধা খুব ভাল কাজ করে। আপনার শরীরে থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কমে গেলে নিয়মিত অশ্বগন্ধা খেতে পারেন। এতে বেশ উপকার পাবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে বিভিন্ন রোগে বাসা বাধে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই প্রয়োজন। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অশ্বগন্ধা চমৎকার কাজ করে। কারণ, অশ্বগন্ধায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণে

দেহে রক্ত চলাচল ঠিক না থাকলে হৃদপিণ্ডে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের দেহের রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক রাখতে অশ্বগন্ধা বেশ কার্যকরি ভূমিকা রাখে। নিয়মিত অশ্বগন্ধা খেলে দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃৎপিণ্ডকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। এর পাশাপাশি অশ্বগন্ধা মানুষের রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং পেশির শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

চুল ও ত্বকের যত্নে

যাদের নিয়মিত চুল পরে তারা চুলে অশ্বগন্ধা ব্যবহার করতে পারেন। চুলের বিভিন্ন সমস্যায় অশ্বগন্ধা বেশ উপকারী। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমায় এবং চুলকে মজবুত করে তুলে। এর পাশাপাশি অশ্বগন্ধা ত্বকের বয়সের চাপ দূর করে এবং যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত অশ্বগন্ধা খেলে আপনার ত্বকের ভাজ পড়া কিংবা দ্রুত বার্ধক্য আসা থেকে মুক্তি পাবেন।

সাপের কামড়ে

সাপে কামড় দিলে অশ্বগন্ধার ব্যবহার আমরা সবাই জানি। অতীত থেকেই মানুষ সাপের কামড়ে অশ্বগন্ধা ব্যবহার করে আসছে। তবে সাপের কামড়ে অশ্বগন্ধা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার না করাই ভাল। 

আরো পড়ুনঃ সোনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা 

অশ্বগন্ধা তেলের উপকারিতা

অশ্বগন্ধার তেল বাজারে পাওয়া যায়। যা আমাদের বিভিন্ন উপকারে আসে। নিচে কয়েকটি উল্লেখ করা হলঃ

চুলের সমস্যায় অশ্বগন্ধার তেল

চুলের যে কোন সমস্যা দূর করতে অশ্বগন্ধার তেল বেশ উপকারী। চুল পড়া, চুলের খুশকি দূর করতে নিয়মিত অশ্বগন্ধার তেল মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।

ত্বকের সমস্যায় অশ্বগন্ধার তেল

শীত বা গরমে ত্বকের সমস্যা সবসময়ই থাকে। ত্বকের সৌন্দর্য বা উজ্জ্বলতার জন্য আমরা কত কি করি। তাই ত্বকের সমস্যায় অশ্বগন্ধা খুবই উপকারি। নিয়মিত অশ্বগন্ধা ত্বকের ব্রণ ও কালো দাগ সহজেই দূর করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে।

অশ্বগন্ধার গুড়ার উপকারিতা

অশ্বগন্ধার গুড়ার উপকারিতা আলাদা কোন বিষয় নায়। উপরে উল্লেখিত অশ্বগন্ধার উপকারিতা আর অশ্বগন্ধার গুড়ার উপকারিতা একই। পার্থক্য শুধু খাওয়ার ক্ষেত্রে। গুড়া করে খাওয়া।

অশ্বগন্ধার ক্ষতিকারক দিক:

প্রত্যেক জিনিসেরই উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা থাকে।  অন্যান্য  জিনিসের মতোই উপকারের পাশাপাশি অশ্বগন্ধারও রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিক। তো চলুন জেনে নেই অশ্বগন্ধার অপকারিতা বা  এর ক্ষতিকর দিকঃ

১। একটানা দীর্ঘদিন অশ্বগন্ধা খাবেন না। এতে ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিক ও বমির মতো বিভিন্ন সমস্যার সম্ভাবনা রয়েছে। যে কোন জিনিসই একটানা দীর্ঘদিন খাওয়া উচিত নয়। এতে পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদী কোন সমস্যার দেখা দিতে পারে।

২। গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা না খাওয়াই ভাল। কারণ, কখনো কখনো নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৩। অশ্বগন্ধা খেলে আমাদের শরীরের রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে। তাই এক্ষেত্রে শরীরের যে কোন জায়গায় কোনো অস্ত্রোপাচার করালে বা এ সম্পর্কিত কোনো ঔষধ গ্রহণ করলে সমস্যা হতে পারে। কারণ, পাতলা রক্ত হলে অধিক রক্তপাত হতে পারে যা সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলবে।

৪। অশ্বগন্ধা খাওয়া অবস্থায় কোন ঘুমের ঔষধ খাবেন না। কারণ, আমরা জানি অশ্বগন্ধা খেলে ঘুম ভালো হয়। তাই ঘুম কম হলে অশ্বগন্ধা খাওয়ার পাশাপাশি অন্য কোনো ঘুমের ওষুধ খাবেন না । খেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। 

৫। যাদের দেহে শর্করার পরিমাণ বেশি তারা কমানোর জন্য অশ্বগন্ধা খাওয়ার পাশাপাশি শর্করা কমানোর অন্য কোনো ওষুধ সেবন করবেন না। ২ টা একসাথে সেবনে শর্করার পরিমাণ অতিরিক্ত কমিয়ে দিতে পারে যা আরো মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। কাপ্রাকৃতিকরণ, ভাবেই অশ্বগন্ধা শর্করা কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকরি ভূমিকা ।

৬। যেসব মায়েরা বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ান, তারা অশ্বগন্ধা খাবেন না।

আরো পড়ুনঃ কিসমিস কিভাবে খাবেন ও কিসমিস খাওয়ার উপকারীতা

অশ্বগন্ধা কিভাবে খাবেন  বা অশ্বগন্ধা খাওয়ার নিয়ম:

এতোক্ষণ আমরা অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা জানবো এই অশ্বগন্ধা খাওয়ার নিয়ম। যদি খাওয়ার সঠিক নিয়ম না জানি তাহলে এর থেকে উপকারিতা পাওয়া যাবেনা। তাই আমদের খাওয়ার নিয়ম জানতে হবে।

অশ্বগন্ধা কয়েকভাবেই খাওয়া যায়। বর্তমানে বাজারে অশ্বগন্ধার ট্যাবলেট বা গুঁড়া উভয়টাই পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় অশ্বগন্ধার মূলও বাজারে বিক্রি করা হয়। আপনি সব ভাবেই খেতে পারেন। নিচে খাওয়ার নিয়ম দেওয়া হলঃ

অশ্বগন্ধা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

অশ্বগন্ধা ট্যাবলেট
অশ্বগন্ধার ট্যাবলেট

অশ্বগন্ধার ট্যাবলেট প্রতিদিন রাতে শুয়ার আগে ১ টি করে ট্যাবলেট খাবেন। প্রতিদিন রাতে খাওয়ায় এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।
অথবা ডাক্তার যদি কোন কারণে অশ্বগন্ধার ট্যাবলেট খেতে বলে তাহলে ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে।

অশ্বগন্ধা পাউডার খাওয়ার নিয়ম

অশ্বগন্ধার পাউডার বা গুঁড়া খেতে চাইলে হালকা কুসুৃম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এক গ্লাস দুধের সাথে ৪/৫ গ্রাম অশ্বগন্ধার গুঁড়া বা পাউডার ভাল করে মিশিয়ে খাবেন। ইচ্ছা করলে এর সাথে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।

অশ্বগন্ধার পাউডার বা গুঁড়া দুধের পাশাপাশি চাইলে ঘি ও মধুর সাথে মিশিয়েও যখন ইচ্ছা খেতে পারেন।

অশ্বগন্ধার মূল খাওয়ার নিয়ম

  • অশ্বগন্ধার মূলও পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খেতে পারেন। অশ্বগন্ধার মূল ভাল করে ধুয়ে পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খাবেন। 
  • অথবা ফুটানো পানি ভালভাবে ছেঁকে তা পান করতে পারেন।
  • আবার অশ্বগন্ধার মূল রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পানি ছেঁকে  তা পান করতে পারেন।

অশ্বগন্ধা সিরাপ হামদর্দ

বাজারে অশ্বগন্ধার ক্যাপসুল, সিরাপও পাওয়া যায়। বিশেষ করে হামদর্দ কোম্পানির সিরাপ রয়েছে সেটিও সেবন করতে পারেন। ঔষধেই লিখা থাকে খাওয়ার নিয়ম। অশ্বগন্ধার ক্যাপসুল খুবই জনপ্রিয়।

অশ্বগন্ধার দাম

অশ্বগন্ধার দাম পাউডার, ট্যাবলেট একেকটির একেক দাম। আবার কখনো কখনো দেখা যায় একেক দোকানে ও একেক দাম রাখে। তবে আপনাদের সম্ভাব্য দাম বলি।

অশ্বগন্ধা পাউডার এর দাম কত?

অশ্বগন্ধার পাউডার বা গুঁড়ার দাম একেক জায়গায় একেক দোকানে একেক দাম রাখে তাবে,
১০০ গ্রাম পাউডার ১৪০-১৮০ টাকার মধ্যে পাবেন।

অশ্বগন্ধার ট্যাবলেট এর দাম

অশ্বগন্ধার অনেক কোম্পানির ট্যাবলেট রয়েছে। এর মধ্যে হিমালয়া অশ্বগন্ধার ট্যাবলেট রয়েছে। যাতে ৬০ টি ট্যাবলেট থাকে। এর দাম হল ৩৪০ টাকা।

শেষ কথা

অশ্বগন্ধা প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবেই পরিচিত। শরীরের বিভিন্ন সমস্যায় অশ্বগন্ধা ভাল কাজ করে। অশ্বগন্ধার উপকারিতা অনেক। পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। সাভাবিক নিয়ম মেনে খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। আশা করি আজকের আর্টিক্যাল আপনাদের ভাল লেগেছে। ভাল লাগলে সবার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *