খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা: প্রত্যেকের রান্নাঘরেই এলাচ থাকে। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এলাচের জুড়ি নেই। এই ফলগুলো সব খাবারের সুবাস বাড়িয়ে তোলা। তাই এই মসলা বিভিন্ন তরকারিতে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন পিঠা-পায়েসের মধ্যেও একটি বা দুটি এলাচ দিলে এর স্বাদটা আরো বেড়ে যায়। 

খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা
এলাচকে মসলার রানী বলা হয়। এটি সুগন্ধিযুক্ত একটি মসলা। খাবারে অতিরিক্ত স্বাদ বাড়ানোর জন্য এলাচ ব্যবহার করা হয় । আর রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানো এলাচের অন্যতম কাজ। এটি খাবারের মধ্যে একটি সুন্দর ঘ্রাণ এনে দেয়। তবে খাবার খেতে বসলে যদি মুখে এলাচ চলে যায় তাহলে এটি মুখের পুরো স্বাদটাই নষ্ট করে দেয়। 

এলাচ এর প্রকার।

সাধারণত এলাচ দুই প্রকারের হয়।

১. সবুজ এলাচ

২. কালো এলাচ।

১। সবুজ এলাচঃ  সবুজ এলাচ সব থেকে বেশী প্রচলিত ও আপেক্ষিকভাবে এই এলাচই সকলের রান্নাঘরে উপস্থিত থাকে। ভারতবর্ষে এই সবুজ এলাচের চাষ হয়ে থাকে এবং মালেশিয়ার মত দেশে এই এলাচ ভারত থেকে পাঠানো হয়। নানারকমের মিষ্টি অথবা নোনতা স্বাদের খাদ্যে এই সবুজ এলাচ ব্যবহার করতে পারেন। সবুজ এলাচের অসাধারণ সুগন্ধের জন্যে একে তরকারি অথবা বিভিন্ন দুগ্ধ জাতীয় খাদ্যেও ব্যবহার করা হয়। আবার চা বা কফি বানানোর সময়ও এলাচের ব্যবহার করা হয় যার ফলে একটি বিশেষ ফ্লেভার পাওয়া যায়। 

২। কালো এলাচঃ ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চল যেমন সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ব-হিমালয় ইত্যাদি অঞ্চলে কালো এলাচের ব্যবহার বেশ প্রচলিত। কালো এলাচ আকারে সবুজ এলাচের থেকে একটু বড় এবং লম্বাটে হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রকারের তরকারি বা বিরিয়ানিতে এই কালো এলাচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ এলাচে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে যার জন্য এর মধ্যে ঔষধিক গুণ পাওয়া যায়। এছাড়াও কালো এলাচ হার্ট সুস্থ রাখে, রক্তচাপ ও ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে। 

খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতাঃ

এলাচের রয়েছে অনেক গুণাগুণ। রান্না ছাড়াও এলাচ খেলে নানা রকম রোগের সমস্যার সমাধান পাবেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি মাত্র এলাচ খেলে দেহের নানান রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। তো চলুন জেনে নেই খালি পেটে এলাচ খেলে কী কী উপকার মিলবে- 

১. এলাচ এবং আদা প্রায় একই। আদা যেমন পেটের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় ঠিক তেমনি পেটের সমস্যা এবং হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এলাচ অনেক কার্যকরী। এছাড়াও এটি অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করার পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্রকেও সক্রিয় রাখে।  তাই বমি ভাব, বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা এবং অ্যাসিডিটির হাত থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিন।

২. দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে এলাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এলাচে বিদ্যমান ডিউরেটিক উপাদান যা দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কারে সহায়তা করে। যাঁদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে, তাঁরা নিয়মিত সকালে খালি পেটে এলাচ ভেজানো জল খেলে ত্বক টানটান হবে এবং বলিরেখা কমতে শুরু করবে।

৩. মধু, লেবুর রস এবং গরম পানির সঙ্গে একটা এলাচ মিশিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্ট দূর হবে। হুপিংকাশি ও ফুসফুস সংক্রমণের মতো সমস্যার রোগীদের এলাচ খুবই উপকারী।

৪. অনেকেই রক্তনালীতে রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে এলাচ রক্ত পাতলা করার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। প্রতিদিন খালি পেটে এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক মাত্রায় থাকে।

৫. এলাচে বিদ্যমান ডিউরেটিক উপাদান যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম। এলাচ দেহের বাড়তি ফ্লুইড দূর করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।

৬. গবেষণায় দেখা যায় নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এলাচ আমাদের দেহে ক্যানসারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে।

৭. হাঁপানি ও হৃদরোগ নিরাময়ে এলাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি হৃদস্পন্দনকে স্বাভাবিক রাখে এরফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও এলাচ রক্তসঞ্চালনে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন এলাচ খাওয়ার অভ্যাগ করুন এতে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকবে।

৮. মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হলে একটি এলাচ নিয়ে চিবোতে থাকুন। এলাচের ঝাঁঝালো স্বাধ নিশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে দেয়। এলাচে এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে যা মাড়ি ও দাঁতের জন্য খুব উপকারী। এটি মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়াসহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।

৯. এলাচে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা ত্বকে বয়সের ছাপ, রিংকেল ইত্যাদি পড়তে বাঁধা প্রদান করে। এলাচ ত্বকের ক্ষতি পূরণেও বেশ সহায়তা করে। 

১০. মাথাব্যাথা ও মানসিক চাপ দূর করার জন্য এলাচ চা খান। এটি নিমিষেই ব্যাথা দূর করে দিবে। তাই গরম পানিতে চা পাতা, এলাচ গুঁড়া ও মধু দিয়ে ফুটিয়ে তৈরি করুন এলাচ চা।

১১. এলাচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে শুরু ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বেশ উপকারী। তাই শারীরিক নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত এলাচ খান।

আরও পড়ুনঃ কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা। সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা।

১২. নিয়মিত সকালবেলা এলাচ খান। যাদের সর্দি, কাশি, ফুসফুসের সমস্যা বা এ্যাজমা বা ব্রঙ্কাইটিস এ জাতীয় সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত এলাচ খেলে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাবেন।

১৩. কোনো কারণে যদি হেঁচকির সমস্যায় পড়েন, তাহলে এক কাপ গরম জলে এক চা চামচ এলাচ মিশিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। এরপর এটি ১৫ মিনিট রেখে আস্তে আস্তে পান করুন।

১৪. এলাচে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট। যা মস্তিস্ককে শান্ত করে ও স্মৃতি শক্তি প্রখর করে তুলতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিদিন দুধের সঙ্গে দুটি এলাচ ফুটিয়ে সেটি পান করুন। এতে অনেক উপকার পাবেন।

১৫. এলাচ খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। এলাচের তেল ব্যবহার করলে খাওয়ার প্রতি ইচ্ছে ও ক্ষুধা দুটোই বেড়ে যায়। যাঁরা খাওয়ার প্রতি অনিহা, তাঁদের জন্যে এলাচ খুব উপকারী।

এলাচের পুষ্টিগত মানঃ

এলাচের অনেক উপকারিতা রয়েছে। আর এর কারণ হল এর অনবদ্য পুষ্টিগত মান। নিচে এলাচের পুষ্টিগত উপাদান ও মান বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হল।

উপাদান                 পুষ্টিগত মান           আর.ডি.এ. শতাংশ

ক্যালোরি              ৩১১ কিলোক্যালোরি            ১৫.৫%
কার্বোহাইড্রেট      ৬৮.৪৭ গ্রাম                           ৫২.৫%
প্রটিন                ১০.৭৬ গ্রাম                           ১৯%
ফ্যাট                        ৬.৭ গ্রাম                           ২৩%

কোলেস্টরল      ০ মিলিগ্রাম                             ০%
ফাইবার                ২৮ গ্রাম                            ৭০%
             
                           ভিটামিন
নিয়াসিন             ১.১০২ মিলিগ্রাম                    ৭%
পাইরিডক্সিন     ০.২৩০ মিলিগ্রাম                   ১৮%
রিবোফ্লাভিন     ০.১৮২ মিলিগ্রাম                   ১৪%
থিয়ামিন             ০.১৯৮ মিলিগ্রাম                   ১৬.৫ %
ভিটামিন এ     ০ আই.ইউ                           ০%
ভিটামিন সি     ২১ মিলিগ্রাম                           ৩৫%
                          ইলেক্ট্রোলাইট
সোডিয়াম           ১৮ মিলিগ্রাম                         ১%
পটাসিয়াম          ১১১৯ মিলিগ্রাম                         ২৪%
               
                           মিনারেল
ক্যালসিয়াম     ৩৮৩ মিলিগ্রাম          ৩৮%
কপার             ০.৩৮৩ মিলিগ্রাম                 ৪২.৫%
আয়রন                ১৩.৯৭ মিলিগ্রাম                 ১৭৫%
ম্যাগনেসিয়াম     ২২৯ মিলিগ্রাম                 ৫৭%
ম্যাঙ্গানিজ              ২৮ মিলিগ্রাম                 ১২১৭%
ফসফরাস             ১৭৮ মিলিগ্রাম                 ২৫%
জিঙ্ক                     ৭.৪৭ মিলিগ্রাম                 ৬৮%

এলাচ এর বৈজ্ঞানিক নাম কি?

এলাচ এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো- Elettaria cardamomum.

এলাচ গাছের ছবিঃ

অনেকেই দেখেনি এলাচ গাছ দেখতে কেমন হয় । তাই নিচে এলাচ গাছের ছবে দেওয়া হলোঃ 
এলাচ গাছের ছবি

এলাচের ব্যবহার বা এলাচ খাওয়ার নিয়মঃ

এলাচ এর বহু গুণাগুণ ও উপকারিতা রয়েছে। যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে।তবে এলাচ ব্যবহার করার কিছু বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। আমাদের এলাচ খাওয়ার নিয়ম  সঠিকভাব জানতে হবে।  বিভিন্ন তরকারি, ডাল, মিষ্টি জাতীয় কোনো খাদ্যে বা অন্য যে কোনো পদে এটি  ব্যবহার করে রান্না করা হয় । এলাচের খোসা ছাড়িয়ে শুধু এর বীজ ব্যবহার করতে পারবেন। অথবা খোসা সমেতও এটিকে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। এলাচ খাওয়ার সঠিক নিয়ম বা এলাচ কোথায় কিভাবে ব্যবহার করতে পারবেন তা বিস্তারিতভাবে নিচে আলোচনা করা হল।
  • আমিষ ও নিরামিষ যে কোনো রান্নায় এলাচ ব্যবহার করা যায়। আবার নানারকম ভারতীয় তরকারি বা সবজি রান্নার সময় এলাচ ব্যবহার করা হয়। রান্নার প্রয়োজন অনুযায়ী এলাচ  ব্যবহার করা হয়।
  • চা বা কফি বানানোর সময়ও এলাচ ব্যবহার করা হয়। এটি চা বা কফিতে ব্যবহার করলে দারুন সুগন্ধ ফুটে ওঠে। আবার মেজাজও বেশ ফুরফুরে থাকে।
  • পোলাও, কাবাব বা বিরিয়ানি বানানোর সময় এলাচ একটি অতি আবশ্যক মশলা। এছাড়াও ক্ষির, পায়েস, , হালুয়া মিষ্টি, বা যেকোনো মিষ্টান্ন পদের জন্যে এলাচ দারুন একটি মশলা।
  • অনেকেই বাড়িতে আইস ক্রিম, পুডিং বা কাস্টার্ড বানানোর সময়ও এলাচ ব্যবহার করে থাকেন।
  • মাংস রান্না করার পূর্বে এলাচ, মধু ও লবঙ্গ দিয়ে মাখিয়ে রাখলে তার একটি বিশেষ স্বাদ ফুটে ওঠে।
  • সুস্বাদু ফলের স্যালাডে এলাচ যোগ করলে স্বাদ ও পুষ্টি দুটোই বেড়ে যায়। 
  • এলাচের সাহায্যে লেবু সংরক্ষণ করা যায়। এর জন্য লেবুকে টুকরো টুকরো করে কেটে তাতে একটু নুন, এলাচ গুঁড়ো ও তেজ পাতা দিয়ে মাখিয়ে একটি বয়ামে রেখে দিন। প্রতিদিন এই বয়ামটি একবার করে ভালো করে ঝাকিয়ে রেখে দেবেন। এভাবে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত লেবু টাটকা অবস্থায় রাখতে পারবেন।
  • লস্যি, দুধ বা দই-এর মধ্যে এলাচের গুঁড়ো মিশালে এর স্বাদ বেড়ে যায়  বিশেষভাবে এতে এলাচের স্বাস্থ উপকারিতা পাওয়া যায়।

এলাচ এর অপকারিতাঃ

সবকিছুর মতোই এলাচেরও উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। আর এলাচের এই অপকারিতা সম্পর্কে সকলেরই ধারণা থাকা জরুরি। নিচে এলাচের অপকারিতা গুলো বর্ণনা করা হলো-
  • গর্ভাবস্থায় সময় খাদ্য বিষয়ে অনেক সচেতন থাকতে হয়।  এই সময় বেশি এলাচ খেলে গর্ভপাত হতে পারে। কেননা এলাচ এই সময় শরীর গরম করে তুলতে পারে যা গর্ভবতী মা ও শিশু উভয়ের জন্যেই বিপদজ্জনক।গর্ভাবস্থায় যদি কেউ এলাচ খেতে চান তবে অবশ্যই  প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই এলাচ খান।
  • চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রমাণিত হয়েছে যে, যে সমস্ত মানুষদের গলব্লাডার বা কিডনি-তে স্টোনের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এলাচ ক্ষতিকারক হতে পারে। এলাচের মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা এই গলব্লাডারের স্টোনকে আরো বেশি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা যোগায়। অতএব, এটি খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খান।
  • যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে  তাঁদের এলাচ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা এটি গ্রহণের ফলে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও হতে পারে। এছাড়া অনেকের আবার এলাচের থেকেই অ্যালার্জির সমস্যা হয়ে থাকে, তাই আগে জেনে নিয়ে তবেই এলাচ খান।
  • এই সমস্যাগুলি ছাড়াও অতিরিক্ত এলাচ খাওয়ার ফলে কাশি এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। এলাচের স্বাদ ঠান্ডা, যার কারণে এটি অতিরিক্ত খেলে কাশিও হতে পারে। আর এই সমস্যাগুলি থাকলে এলাচ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

শেষকথাঃ

এলাচ অনেক উপকারি একটি ফল। এর বিভিন্ন গুণাগুণ রয়েছে যা উপরে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই যাদের এলাচ খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা এলাচ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলোন। কেননা নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে নানা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। তবে এর উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে, যেগুলো জানা সকলের জন্য  আবশ্যক।