সাদা স্রাব বন্ধ করার ঔষধঃ সাদা স্রাব মহিলাদের একটি কমন সমস্যা।প্রায়ই মহিলারা এই সমস্যায় ভুগে থাকে। বেশিরভাগ অল্প বয়সের কিশোরীদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। তাই মেয়েদের সাদাস্রাব বন্ধ করার ঔষধ খেয়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মেয়েদের সাদাস্রাব যাওয়ার মূল একটা কারণ হচ্ছে ফাঙ্গাল ইনফেকশন।
ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে মেয়েদের লজ্জাস্থান দিয়ে সাদা সাদা ছানার মত বের হয় যা সাদাস্রাব নামে পরিচিত। সাদাস্রাব এর ফলে লজ্জাস্থান চুলকায় এবং সাদাস্রাব থেকে দূর্গন্ধ ছড়ায়। যদিও অল্প পরিমাণে সাদাস্রাব হলে তেমন কোন সমস্যা হয়না। তবে অতিরিক্ত সাদাস্রাব হলে সেটা উদ্বিগ্নের বিষয়।
সাদা স্রাব এর কারণ ও প্রতিকার
সাদাস্রাব কে ইংরেজিতে লিউকোরিয়া বলা হয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মহিলাদের বিভিন্ন যৌনরোগ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করা হয়। যাতে বলা হয় মেয়েদের অন্যান্য সাধারণ রোগগুলোর মধ্যে সাদাস্রাবের সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন।হালকা সাদাস্রাব স্বাভাবিক হলেও তা সবসময় মানুষ চাপ ও গর্ভধারণের অক্ষমতার ভয় কাজ করে এবং অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক সাদাস্রাব যোনি তে ক্যান্সার ও সৃষ্টি করতে পারে।
সাদাস্রাব কি?
সাদাস্রাব বা Leucorrhea হল নারীদের জরায়ু বা যোনিপথের একটি সাধারণ তরল নিঃসরণ, যাতে মৃত কোষ ও কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা স্বাভাবিক ভাবে নির্গত হতে থাকে। স্বাভাবিক স্রাব সাধারণত পাতলা এবং সামান্য চটচটে হয়ে থাকে। দেখতে প্রায় সর্দির মত। তবে কখনো কখনো রং পরিবর্তন দেখা যায়।
আপনি আরো পড়তে পারেনঃ
📎মাসিক না হলে কি করবেন? দাম সহ জেনে নিন মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম ২০২২
📎এলার্জি দূর করার উপায় এবং দাম সহ এলার্জির ঔষধের নাম।
📎হস্তমৈথুন এর ক্ষতিকর দিক সমূহ এবং এর থেকে বাঁচার সহজ উপায়।
কারো কারো ক্ষেত্রে স্রাব দেখতে হলুদ বা সবুজ বর্ণেরও হতে পারে। মেয়েদের সাদাস্রাব একটি সাধারণ রোগ যা কখনো দূর্গন্ধ ছড়াতে পারে। এবং সাদাস্রাবের কারণে ব্যথা, চুলকানি বা জ্বালা ও শারীরিক দূর্বলতা সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এবং কখনো কখনো এর কারণে যোনিতে ইনফেকশন ও হতে পারে।
মেয়েদের সাদা স্রাব কেন হয়?
মেয়েদের সাদাস্রাব বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। আমরা যদি আগে সেই কারণ গুলো বের করতে পারি তাহলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে। তো চলুন জেনে নেই সাদাস্রাব কেন হয়।
১/ মানসিক অশান্তি
মানসিক অশান্তি বা চাপ থাকলে তার প্রভাব আমাদের শরীরে পরে। অতিরিক্ত মানসিক চাপে সাদাস্রাব হতে পারে।
২/ পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টির অভাব
পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন থাকা সত্বেও বিশ্রাম না নেওয়ার কারণে এবং পুষ্টির অভাবে সাদা স্রাবের প্রবণতা দেখা দিতে পারে । তাই বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার ডিম, দুধ, মাছ, মাংস , সবুজ শাক সবজি ও ফলমূল খেতে পারেন।
৩/ কৃমির সংক্রমণ
কখনো কখনো কৃমির কারণে সাদাস্রাব হতে পারে। কৃমির সংক্রমণ দেখা দিলে আপনার খাবারে কৃমি ভাগ বসাবে। যা কিছুই খাবেন তার কিছু অংশ কৃমির পেটে চলে যাবে। যার ফলে আপনি পুষ্টিহীনতায় ভুগবেন এবং এর জন্য সাদাস্রাব হতে পারে।
৪/ অপরিচ্ছন্নতা কাপড়
অপরিচ্ছন্ন কাপড় এবং কোন কাপড় রোদে ভাল করে না শুকিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে রেখে সেই কাপড় পরিধান করা মোটেই ঠিক নয়। এতে করে সাদাস্রাবের সমস্যা। তাই সবসময় কাপড় রোদে ভালভাবে শুকিয়ে ব্যবহার করা উত্তম।
৫/ জন্ম বিরতিকরণ পিল
কখনো কখনো বা কারোর জন্ম বিরতিকরণ পিল খাওয়ার কারণে সাদা স্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই যদি পিল খাওয়ার প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
মেয়েদের সাদাস্রাব দেখতে কেমন
অনেকেই জানতে চান মেয়েদের সাদাস্রাব দেখতে কেমন হয়। সাদাস্রাব বা যোনি স্রাব বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।সাধারণত মাসিক চক্রের উপর নির্ভর করে স্রাবের রঙ পরিবর্তিত হতে পারে। এরমধ্যে কিছু যোনি স্রাব আছে স্বাভাবিক যার জন্য চিন্তার কোন কারণ নেই । তা ছাড়া অন্যগুলো একটু ব্যাতিক্রম যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন হয়।
সাদা: মাসিক চক্রের শুরুর দিকে অথবা শেষে সাদা রঙের স্রাব দেখা যেতে পারে।তবে যদি সেই সাদা স্রাবের সাথে চুলকানি থাকে এবং কিছুটা ঘন, কুটির পনিরের মতো স্রাব বের হয় তাহলে উদ্বিগ্নের বিষয় কেননা এটা স্বাভাবিক স্রাব নয় এবং এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
পরিষ্কার এবং পানিযুক্ত: কখনো কখনো পরিষ্কার এবং পানিযুক্ত স্রাব হতে পারে যা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এই ধরনের স্রাব মাসের যে কোন সময় হতে পারে।
বাদামী বা রক্তাক্ত: বাদামী বা রক্তাক্ত স্রাব এটা ও সাধারণত স্বাভাবিক স্রাব ই ধরা হয়। যখন এটি আপনার মাসিক চক্রের সময় বা ঠিক পরে এই ধরনের স্রাব হয়ে থাকে। কারণ হল আপনার পিরিয়ড শেষে স্রাব দেরীতে হলে লালের পরিবর্তে বাদামী দেখাতে পারে।
পরিষ্কার এবং প্রসারিত: স্রাব যখন পরিষ্কার কিন্তু প্রসারিত হয় এবং দেখতে শ্লেষ্মার মত হয়ে থাকে, তাহলে এর দ্বারা বুঝা যায় যে,আপনি সম্ভবত ডিম্বস্ফোটন করছেন। এটি ও একটি সাধারণ ধরনের স্রাবই বলা হয়।
হলুদ বা সবুজ: যখন হলুদ বা সবুজ স্রাব, ঘন চকচকে বা অপ্রীতিকর গন্ধের সাথে হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিন। কেননা এটি স্বাভাবিক স্রাব নয়। এটি সাধারণত যৌন মিলনের মাধ্যমে ছড়ায় বা দেখা দেয়।
সাদাস্রাব এর লক্ষণ
মেয়েদের সাদাস্রাবের বিভিন্ন লক্ষণ পাওয়া যায়। নিচে কয়েকটি লক্ষণ উল্লেখ করা হল।
১. মেয়েদের সাদাস্রাব হলে জরায়ূ সব সময় ভেজা থাকে তাই তাড়াতাড়ি ব্যাকটেরিয়া বাসা বাধতে পারে এবং সংক্রমন করে।
২. ছোঁয়াচে যৌন রোগের সমস্যা হলে।
৩. ইস্ট এর সংক্রামন হলে।
৪. অতিরিক্ত সাদা স্রাব হরে কোমরে ব্যথা শুরু হয়।
৫. দূর্গন্ধ যুক্ত সাদাস্রাব নিঃসরণ হয়।
৬. তলপেট ভারি ভারি লাগা।
৭. শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া ।
৮. চোখের নিচ গর্ত ও কালো হয়ে যাওয়া।
৯. বদ হজমের সমস্যা দেখা দেওয়া।
১০. যোনিতে চুলকানি অথবা জ্বালাপোড়া।
১১. মুখের মলিনতা বা সুন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়া ও
১২. সহবাসের করলে যোনিতে জ্বালাপোড়া করা।
লিউকোরিয়ার ঔষধ বা সাদা স্রাব বন্ধ করার ওষুধের নাম
- লিকর (Lecor)
- লিকোসাব ( Lecosav)
লিউকোরিয়া হোমিও ঔষধ
- লিউকোরিয়া
- লিউকোরিন
- লিউকোফেম
সাদা স্রাব এর ঘরোয়া ঔষধ কি
সাদা স্রাব মহিলাদের একটি সাধারণ সমস্যা হলে ও কখনো কখনো এর থেকে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হতে পারে । এই সমস্যাটি বেশিরভাগ কিশোরী মেয়েদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।তবে এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ সাদাস্রাব এর ঘরোয়া ঔষধ এর মাধ্যমে আপনি এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
অনেকেই আবার জানতে চায় সাদাস্রাব কি খেলে ভাল হয়। আজকের আর্টিক্যালে প্রাকৃতিক উপায়ে যেসব খাবার খেলে সাদাস্রাব ভাল হয় সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত জানবো। তো চলুন জেনে নেই মেয়েদের সাদাস্রাব এর ঘরোয়া ঔষধ।
১. মেথি বীজ
মেথি বীজ পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করার মাধ্যমে সাদা স্রাবের সমস্যা দূর হয়। আপনি মেথির বীজ ভালভাবে পানিতে সিদ্ধ করতে পারেন, যতক্ষণ না পানি শুকিয়ে অর্ধেক কমে যায়। তারপর এই পানি ঠাণ্ডা হওয়ার পর পান করতে হবে।
২. ঢেড়স
ঢেড়স একট সবজি হলে ও তা সাদাস্রাবের সমস্যা দূর করার জন্য সব থেকে ভাল কার্যকরি চিকিৎসা বলা যায়। ঢেড়সের মাধ্যমে ভিতর থেকে সাদাস্রাব দূর করে এবং যে কোন যোনি সমস্যা দূরতে সাহায্য করে। তবে ঢেড়স বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। আপনি কিছু সতেজ ঢেড়স ছোট ছোট করে কেটে পানিতে সিদ্ধ করতে পারেন এবং তারপর মিক্সারে মিক্স করে খেতে পারেন।
আবার সিদ্ধ করা পানির সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার খেতে পারেন। আবার কেউ কেউ দই দিয়ে ঢেড়স ভিজিয়ে তারপর সেবন করে থাকে।
৩. ধনিয়া বীজ
ধনিয়া বীজ অল্প নিয়ে সেটা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে পান করুন । সাদাস্রাবের চিকিৎসার জন্য এটা ও অনেক উপকারি।
৪. আমলকি
সাদাস্রাব নিযন্ত্রণে আমলকি খেতে পারেন।আমলকিতে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই আমলকি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং আপনাকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত আমলকি খেলে সাদাস্রাবের সমস্যা ও দূর করতে সাহায্য করে।
৫. তুলসী
তুলসী পাতা অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে । মানুষ বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে যুগ যুগ ধরে এটি ব্যবহার করে আসছে। সর্দি কাশিতে ভাল কাজ করে। পাশাপাশি মেয়েদের সাদাস্রাব দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি পানি দিয়ে কিছু তুলসী পাতা ভিজিয়ে তা পিষে নিন এবং এতে কিছু মধু মিশিয়ে নিন । সাদাস্রাব এর সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন ২/৩ বার এই পানীয় পান করুন। এছাড়াও আপনি দুধের সাথে তুলসীর রস মিশিয়ে ও খেতে পারেন।
৬. ভাতের মাড়
ভাতের মাড় সাদাস্রাব এর অন্যতম কার্যকরি ঔষধ। যদি ও সাদাস্রাবের সমস্যা দূর করতে আপনি নিয়মিত ভাতের মাড় খেতে পারেন। যদিও অনেকেই ভাতের মাড় খেতে পছন্দ করেনা। বা নিয়মিত খেতে ও কারোর ভাল লাগেনা। তবে সমস্যা সমাধানে নিয়মিত খাওয়া উচিত।
৭. পেয়ারা পাতা
সাদা স্রাবের সময় যোনিতে চুলকানি মারাত্মক একটি সমস্যা। যদি আপনি স্রাবের সময় চুলকানি অনুভব করেন, তাহলে কিছু সতেজ পেয়ারা পাতা পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন এবং ঠাণ্ডা হওয়ার পর পান করতে পারেন। এটি দিনে দুবার পান করুন তাহলে সাদাস্রাবের পাশাপাশি অন্যান্য ইনফেকশন ও কমে যাবে।
৮. নিম পাতা
নিম পাতা হল সেরা এমন একটি উদ্ভিদ যা সর্ব রোগেরই মহা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। যাতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং এন্টিসেপটিক এর মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । সাদাস্রাব বা লিউকোরিয়ার চিকিৎসার জন্য অনেক আগে থেকেই মানুষ নিম পাতা ব্যবহার করে আসছে। নিম পাতা শরীরে থাকা অপকারি ব্যাকটেরিয়া মেরে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।
তাজা নিম পাতা থেকে নিম পাতার রস তৈরি করে খেতে পারেন। অথবা তাজা নিম পাতা নিয়ে সেদ্ধ করুন। তারপর সেই পানি ঠাণ্ডা হওয়ার পর ছেঁকে নিন। তারপর এই জল দিয়ে আপনার যোনি ধুয়ে ফেলুন। এতে বেশ চমৎকার উপকার পাবেন।
৯. অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়ার সমস্যা দূর করতে চমৎকার একটি প্রাকৃতিক উপাদান। কারণ এই অ্যালোভেরার মাধ্যমে অতিরিক্ত স্রাব,যোনিতে চুলকানি এবং জ্বলন্ত সংবেদন থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
অ্যালোভেরা রস বানিয়ে প্রতিদিন দুবার পান করতে পারেন।এবং যোনির আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরার রস লাগাতে পারেন অথবা তার সাথে পানি মিশিয়ে যোনি ধৌত করতে পারেন। এতে চুলকানি বা অন্যান্য সমস্যা থেকে ও মুক্তি পেতে পারেন।
১০. নারকেল
সাদাস্রাব এর সমস্যা দূর করতে ডাবের পানি খেতে পারেন। কেননা নারিকেলের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল রাসায়নিক উপাদান যা আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিবে। কয়েক ফোঁটা নিম তেলের সঙ্গে নারকেল তেল ভালভাবে মিশিয়ে নিন।এবং সাদাস্রাব রোগীদের ব্যথা, চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে যোনির আক্রান্ত স্থানে এই মিশ্রণটি লাগাতে পারেন।
আপনি আরো পড়তে পারেনঃ
☀️ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয়? ঘন ঘন প্রস্রাব দূর করার ঘরোয়া উপায়
☀️ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হলে কি করবেন
☀️মেয়েদের স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম
সাদাস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যেসব জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে।
সাদাস্রাব এর সমস্যা দেখা দিলে কিছু জিনিস এড়িয়ে চললে তাড়াতাড়ি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তো চলুন জেনে নেই।
- অতিরিক্ত ভাজাপোড়া এবং মসলাযুক্ত খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
- টক জিনিস, বিশেষ করে টক জাতীয় আচার খাবেন না ।
- সাদাস্রাবে আক্রান্ত মেয়েদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা উচিত এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
- সাদাস্রাবের সময় যৌন মিলন থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা উচিত।
- সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে বাহিরে হাঁটা চলার অভ্যাস করা উচিত এতে প্রাথমিক নিরাময়ে সহায়ক হবে।
- স্যানিটারি এবং স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা নিয়মিত এবং সাবধানে ব্যবহার করা উত্তম।
- শতভাগ সুতির পেন্টি বা আন্ডারপেন্ট পরুন এবং অতিরিক্ত টাইট পোশাক পরা থেকে বিরত করুন।
- সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করুন।
শেষ কথা
সাদাস্রাব মেয়েদের জটিল সমস্যা হলেও সাদাস্রাব এর ঘরোয়া ঔষধের মাধ্যমে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে সেটা অতিরিক্ত ও এর সাথে দূর্গন্ধ এবং চুলকানি থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিৎ। কেননা এতে অনেক সময় ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে এমনকি কখনো যোনিতে ক্যান্সার হওয়ার ও সম্ভবনা থাকে। তাই সবসময় সতর্ক ও সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
Leave a Reply